J&K Encounter: নিরাপত্তা বাহিনীকে মিথ্যা বলছিল বাড়ি মালিক, সেই সুযোগেই গুলি চালাল জঙ্গিরা! নিহত ২ জওয়ান

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Feb 20, 2022 | 11:45 AM

J&K Encounter: সূত্রের খবর, দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানের জ়াইনাপোরার চেরমার্গে কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েই শনিবার সকালেই তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী।

J&K Encounter: নিরাপত্তা বাহিনীকে মিথ্যা বলছিল বাড়ি মালিক, সেই সুযোগেই গুলি চালাল জঙ্গিরা! নিহত ২ জওয়ান
ফাইল ছবি

Follow Us

কাশ্মীর: ফের সংঘর্ষ উপত্যকায়। নতুন বছরের শুরু থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) জোরকদমে চলছে জঙ্গি দমন অভিযান (Anti-Terror Operation)। শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ানেও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ হয়। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এনকাউন্টার অভিযানে নিকেশ করা হয়েছে এক জঙ্গিকে। সংঘর্ষে দুই জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানের জ়াইনাপোরার চেরমার্গে কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েই শনিবার সকালেই তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী (Security Force)। দিনভর তল্লাশি অভিযান চলে। বেলা গড়াতেই জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়।

কাশ্মীর রেঞ্জের পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার জানান, শুক্রবার রাতেই গোপন সূত্রে সোপিয়ানে জঙ্গি উপস্থিতির খবর মেলে। এরপর রাতেই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। শনিবার ভোরবেলায় জ়ইনপোরায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। প্রথমেই এলাকা ফাঁকা করার কাজ শুরু হয় এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

গওহর আহমেদ ভাট নামক এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে তল্লাশি দল পৌঁছলে, তাঁকে প্রশ্ন জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই মিথ্যা বলেন, জানান যে কোনও জঙ্গিকে তিনি আশ্রয় দেননি। নিরাপত্তা বাহিনী যখন গওহর ভাটকে প্রশ্ন করছিলেন, সেই সময়ই বাড়ির ভিতর থেকে গুলি চালায় জঙ্গিরা। গুলিতে গুরুতর আহত হন দুই জওয়ান। পরে তাদের মৃত্যু হয়। মৃত দুই জওয়ানের নাম সন্তোষ যাদব ও চবন রোমিত তানাজি।

জঙ্গিদের গুলি চালনার পরই পাল্টা গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। শুরু হয় এনকাউন্টার অভিযান। সংঘর্ষে লস্কর-ই-তৈবার সদস্য আব্দুল কায়ুম দার নামক এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই জঙ্গি পুলওয়ামার লারু কাকপোরা অঞ্চলের বাসিন্দা। তাঁর কাছ থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং জঙ্গিদের মদত দেওয়ার জন্য ওই বাড়ির মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, লস্কর-ই-তৈবার ওই জঙ্গিকে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে এক এনকাউন্টার অভিযানে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২০২১ সালের অগস্ট মাসে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ছাড়া পাওয়ার পরও তিনি স্লিপার সেল হিসাবে কাজ করছিলেন ওই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের হয়ে।

Next Article