
নয়া দিল্লি: হেডলাইন পড়ে কি কল্পবিজ্ঞানের গল্প মনে হচ্ছে? আসলে কিন্তু এটাই বাস্তব হতে চলেছে। মুম্বইয়ের সঙ্গে রেলপথে যুক্ত হতে চলেছে দুবাই। প্রায় ২০০০ কিলোমিটারের দূরত্ব এবার পার করা যাবে বুলেট ট্রেনে চেপে, তাও আবার সমুদ্রের নিচ দিয়ে আশপাশের নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করতে করতে। ট্রেনটির ঘণ্টায় গতিবেগ হবে ৬০০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার। একবার চালু হয়ে গেলে বিশ্বের দীর্ঘতম রেলপথের চেয়েও অন্তত ১০ গুণ বেশি লম্বা হবে এই নয়া রেলপথ। ইতিমধ্যেই অনেকে এই নতুন ট্রেনকে Deep Blue Express নামও দিয়ে ফেলেছেন।
ভারত ও আরবের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ন্যাশনাল অ্যাডভাইজার ব্যুরো এই প্রকল্পের প্রস্তাব করেছে। ২০৩০-এর মধ্যে গোটা প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ থেকে। ইতিমধ্যেই সেই কাজ বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে। আর এটা শুধু যাতায়াতের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, ২ ঘণ্টা সমুদ্রের নিচ দিয়ে সামুদ্রিক উদ্ভিদ, প্রাণী, নুড়ি-পাথর দেখতে দেখতে এগিয়ে চলার মধ্যেও এক অনন্য অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন যাত্রীরা। এমনটাই বলছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ন্যাশনাল অ্যাডভাইজার ব্যুরোর আহমেদ আল হারিরি।
পরিকল্পনা রয়েছে, যাত্রীদের ছাড়াও এই ট্রেনে চাপিয়ে অপরিশোধিত খনিজ তেল ও জল লেনদেন করা হবে। এমনিতেই আরব দেশগুলির কাছ থেকে প্রচুর তেল কেনে ভারত। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কমবেশি ১৭.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈলজাত পণ্য আরব থেকে আমদানি করেছে ভারত। পাল্টা সরবরাহ করে জল। রেলপথে যুক্ত করা গেলে সেখান থেকে আরও সস্তায়, সহজে ও দ্রুত অপরিশোধিত তেল ভারতে আনা যেতে পারে ও জল পাঠানো যেতে পারে। তবে কাজটা সহজ নয়। কারণ এখানে অনেকগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হচ্ছে।
চিনের বুলেট ট্রেন যেমন দেখতে
একদিকে যাতে সমুদ্রকে নির্ভর করে বেঁচে থাকা স্বাভাবিক প্রাণের অস্তিত্বের কোনও ক্ষতি না হয়, অন্যদিকে যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারদের। যাঁদের ক্লস্টোফোবিয়া রয়েছে (বদ্ধ জায়গায় যাঁদের দম আটকে আসে), তাঁদের কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে বিপুল খরচ। তবে তৈরি হয় গেলে এই নয়া Deep Blue Express সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রসিদ্ধ চ্যানেল টানেলকে।