আহমেদাবাদ : দু’দিনের ভারত সফরে এসে বৃহস্পতিবার গুজরাটের মাটিতে পা রাখেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (UK PM Boris Johnson )। শুক্রবার তাঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি সেদিকে নজর রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেরও। গতকালই মোদী গড়ে বরিসের উষ্ণ অভ্যর্থনার আয়োজন করা হয় গুজরাট প্রশাসনের তরফে। তাতেই আপ্লুত ব্রিটিশ প্রধান। ধন্যবাদ জানান মোদীকে। গুজরাতে পা দেওয়ার পরেই বরিসের প্রথম গন্তব্য ছিল মহাত্মা গান্ধীর সবরমতী আশ্রম। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান। আশ্রমে পৌঁছে মাটিতে বসে চরকায় সুতোও কাটতে দেখা যায় বরিসকে। এদিকে যে মানুষটি তাঁর অহিংস রাজনীতিকে প্রত্যাঘাতের প্রধান হাতিয়ার করে নাড়িয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের ভীত, তাঁর আশ্রমেই ‘হাসিমুখে’ বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানের উপস্থিতি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
প্রসঙ্গত, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে বিগত কয়েক মাসে অনেকটাই তৎপরতা বাড়িয়েছে লন্ডন। এদিনের বৈঠকে কূটনৈতিক পরিসরে নানা আলোচনার পাশাপাশি এই বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর। রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে নানা আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মত পার্থক্য দেখতে পাওয়া গিয়েছে দুই দেশের। কিন্তু তারপরেও ভারতের আতিথেয়তায় মুগ্ধ বরিস। তাঁর দাবি বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্কের যতটা উন্নতি হয়েছে তা এর আগে কখনও হয়নি। গুজরাতে পা রেখে বরিস আরও বলেন, ‘আমি কখনও এত সুন্দর অভ্যর্থনা দেখিনি। আমি হয়তো বিশ্বের আর কোথাও এই এই আপ্যায়ন পাব না’।
দুদিনের ভারত সফরে একাধিক বিষয়ে মোদীর সঙ্গে প্রতিরক্ষা-কূটনৈতিক বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি নতুন বিনিয়োগ নিয়ে বিশদে আলোচনা হওয়ার কথা আগেই জানা গিয়েছিল। স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনার বিষয়েও হয় আলোচনা। গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক সঙ্কট, নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলার বিষয়েও বৈঠকে বিশদে আলোচনা হয় বলে খবর। একইসঙ্গে স্থল, জল, আকাশ, মহাকাশ ও তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে নিত্যনতুন সম্ভাবনা নিয়ে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনার কথা ছিল। নতুন যুদ্ধ বিমান, হেলিকপ্টার সহ আধুনিক প্রজন্মের সমরাস্ত্রের আদান-প্রদানের বিষয়ে মোদী-বরিসের আলোচনা নিয়ে নানা জল্পনা শোনা গিয়েছিল।