লখনউ : ফলের রাজা আম। স্বাদ-বর্ণ দু’দিক থেকেই অতুলনীয় জাতীয় ফল। আমের লোভ নেই বা আম খেতে ভালবাসে না এরকম মানুষ হয়ত খুব কম রয়েছে। সেরকমই আম খাওয়ার বায়না করেছিল এক ৫ বছরের শিশু। কিন্তু আম খাওয়ার বায়না করায় এই তার এই পরিণতি হতে পারে তা কল্পনাও করতে পারেননি ৫ বছরের খুদে। আম খেতে চাওয়ায় কাকার হাতে খুন হলেন খাইরু নিশা। উত্তর প্রদেশের শামলির খেদা কুরতান গ্রামের ঘটনা।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫ বছরের নিশা খাবার খাচ্ছিল। সেই সময় তার ৩৩ বছর বয়সী কাকার কাছে আম খেতে চায়। আমের জন্য বারবার বলতে থাকে নিশা। শেষে বিরক্ত বোধ করেন উমারদিন। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় প্রথমে তিনি ভাইঝির মাথায় রড দিয়ে মারেন। তারপর তার গলা কেটে দেন। প্রবল রক্ত ক্ষরণ হয় নিশার। পুলিশ জানিয়েছে, এখানেই শেষ নয় অভিযুক্ত তারপর নিশার মৃতদেহ বস্তায় বেধে রাখেন। মেয়ের এই পরিণতি হয়েছে, এদিকে এই বিষয়ে কোনও ধারণাই ছিল পরিবারের। বিকেল থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না নিশাকে। এদিকে নিশাকে খুঁজতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন অভিযুক্ত উমরদিনও। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, কান্ধলার এসএইচও-র শ্যামবীর সিং বলেছেন, ‘মেয়েটিকে খোঁজার জন্য গ্রামবাসীদের সঙ্গে গিয়েছিলেন অভিযুক্তও। কিন্তু পুলিশ তাকে সন্দেহ করার পরই সে পালিয়ে যায়।’
এদিকে মেয়েটির বাবা থানায় উমরদিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় (খুন) অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। অভিযোগের পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে অভিযুক্তের বাড়ি থেকেই মৃতের দেহ উদ্ধার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শামলির এএসপি ওপি সিং বলেছেন, ‘গ্রামের কাছাকাছি একটি জঙ্গল থেকে উমরদিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনে ব্যবৃহত অস্ত্র ছুড়ি ও লোহার রড উদ্ধার করেছে পুলিশ।’