
নয়া দিল্লি: আদমশুমারিতে অন্তর্ভুক্ত হবে জাতিভিত্তিক জনসুমারি। বড় ঘোষণা কেন্দ্রের। রাজনৈতিক বিষয়ক ক্যাবিনেট বৈঠকের পরই এ দিন এই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
এ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “ক্যাবিনেট কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আসন্ন জনসুমারিতে জাতি ভিত্তিক জনসুমারি করা হবে।” আগামী বছর থেকেই জনসুমারি শুরু হতে পারে।
বিহারে ইতিমধ্যেই জাতিভিত্তিক জনসুমারি হয়েছে। এ দিন জাতি ভিত্তিক জনসুমারির ঘোষণা করার সময় কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য দলগুলিকে আক্রমণ করে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস সরকার বরাবর জাতি ভিত্তিক জনসুমারির বিরোধিতা করেছে। ২০১০ সালে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন যে ক্যাবিনেটের জাতি ভিত্তিক জনসুমারি নিয়ে বিবেচনা করা উচিত। মন্ত্রীদের নিয়ে কমিটিও গঠন করা হয়। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই জাতিভিত্তিক জনসুমারির সুপারিশ করেছিল, তারপরও কংগ্রেস সরকার জাতি ভিত্তিক সমীক্ষা করেছিল।”
তিনি আরও বলেন, “কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটের সদস্যরা জাতি ভিত্তিক জনসুমারিকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। কিছু রাজ্য এই সমীক্ষা করেছে শুধুমাত্র কোনও জনজাতির সংখ্যা জানতে। কিছু রাজ্য ভাল কাজ করেছে, কেউ আবার রাজনৈতিক স্বার্থে করেছে।”
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরেই বেশ কিছু রাজনৈতিক দল জাতিভিত্তিক জনসুমারির দাবি জানাচ্ছিল। চলতি বছরেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত। ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিহারে নীতীশ কুমারের সরকার জাতি ভিত্তিক জনসুমারি করেছিল। তবে তখন বিহারে জেডিইউ, আরজেডি ও কংগ্রেসের জোট সরকার ছিল। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, রাজ্যের ৩৬ শতাংশ জনগণ প্রান্তিক শ্রেণির, ২৭.১ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণির, ১৯.৭ শতাংশ জনজাতি ও ১.৭ শতাংশ উপজাতির নাগরিক।