কলকাতা: ব্রিটিশ যুগে দিল্লির আগে দেশের শাসনকার্য পরিচালিত হত কলকাতা (Kolkata) থেকেই। দেশের রাজধানী পরিবর্তিত হলেও, কলকাতার গুরুত্ব কমেনি একফোটাও। সেই কারণেই শহরে প্রয়োজন আরও একটি বিমানবন্দরের (Airport)। সম্প্রতি রাজ্য সরকার সবত্রেও জানানো হয়েছিল, দ্বিতীয় বিমানবন্দর তৈরির জন্য ভাঙড়ে জমির খোঁজ চলছে। রবিবার কেন্দ্রীয় অসামরিক উড়ান মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া(Jyotiraditya Scindia)-ও জানান যে, কেন্দ্রের তরফে পশ্চিমবঙ্গের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য় যে বিশাল পরিকল্পনা করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল কলকাতায় দ্বিতীয় বিমানবন্দর। কেন্দ্রের তরফে প্রস্তাব পাঠানো হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার এখনও কোনও জমি দিতে পারেননি সেই বিমানবন্দর তৈরির জন্য।
অসামরিক উড়ানমন্ত্রা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানান, তিনি বিগত ছয় মাস ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসার চেষ্টা করছেন, কিন্তু কোনও জবাব মিলছে না রাজ্য সরকারের তরফে। কলকাতায় অবস্থিত নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী পরিষেবা ক্ষমতা সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে যাওয়ায়, কলকাতার মতো মেট্রো শহরে আরও একটি বিমানবন্দরের প্রয়োজন বলেই তিনি জানান।
রবিবার কলকাতায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে জ্যোতিরাদিত্য় সিন্ধিয়া বলেন, “আমরা চাই কলকাতায় একটা নতুন বিমানবন্দর তৈরি হোক, কারণ বর্তমান বিমানবন্দর তার যাত্রী পরিষেবা ক্ষমতার সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই একাধিক চিঠি ও মতামত আদানপ্রদান করা হয়েছে নতুন বিমানবন্দরের জন্য জমি নিয়ে, কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে কোনও বিশেষ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।”
রাজ্যের অসামরিক উড়ান পরিবহন ব্যবস্থা ঘিরে কেন্দ্রের একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে, একথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “প্রস্তাবিত নতুন বিমানবন্দরের কাজ শুরু করা হবে কি করে, যদি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে কোনও ফাঁকা জমিই না দেওয়া হয়।” সিন্ধিয়া বলেন, “আমরা বর্তমান বিমানবন্দর (নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর)-র জন্য ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছি। আগামিদিনেই একটি নতুন টেকনিক্য়াল ব্লক তথা কন্ট্রোল টাওয়ার তৈরি করা হবে ৩০০কোটি টাকা খরচ করে। যানবাহনের যাতায়াতের জন্য নতুন ট্যাক্সিওয়ে তৈরি করা হচ্ছে, যার জন্য ২৫৬ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। ১১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের সঙ্গে মেট্রোরেলকে সংযুক্ত করতে।”
পূর্ব মেট্রোপলিস থেকে যাত্রীদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায়, তাদের যাবতীয় চাহিদা পূরণ করতেই ২ লক্ষ স্কোয়ার মিটারের নতুন বিমানবন্দরের প্রয়োজন বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি জানান, কলকাতার বর্তমান বিমানবন্দরের যাত্রী পরিষেবা ক্ষমতা আড়াই কোটি, নতুন বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিংয়ে সাড়ে তিন কোটি যাত্রী একই সময়ে যাতায়াত করতে পারবেন।
যদি রাজ্য় সরকার সহযোগিতা করে এবং একসঙ্গে কাজ করে, তবে নতুন বিমানবন্দরে আরও ভাল পরিষেবা দেওয়া যাবে। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু বিমানবন্দরে বর্তমানে দৈনিক ৮৬০০ যাত্রী যাতায়াত করে। নতুন বিমানবন্দরে দৈনিক ১০ থেকে ১১ হাজার যাত্রী পরিবহন ও পরিষেবা দেওয়াই লক্ষ্য।
নবান্ন সূত্রে খবর, জমি বাছাইয়ের জন্য প্রাথমিকভাবে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ভাঙড়। যেহেতু নতুন বিমানবন্দরটি কলকাতা বিমানবন্দরের চাপ কমানোর জন্য তৈরি হবে, সেই জন্য এই বিমানবন্দরটির গুরুত্বও কম হবে না। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমানের চাপ কমাতে কিছু বিমান ভাঙড়ে দিয়েই ওঠা নামা করবে। সেক্ষেত্রে গুরুত্বের বিচারে দমদমের সঙ্গে প্রায় সমতুল্যই হতে চলেছে নতুন বিমানবন্দর। বিমান ওঠানামার জন্য তিন কিলোমিটার দীর্ঘ রানওয়ে এবং তার সঙ্গে অনেকগুলি হ্যাঙ্গার থাকবে নতুন এই বিমানবন্দরে।
প্রাথমিকভাবে ভাঙড়কে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় এলাকায় একসঙ্গে অনেকটা জমি পাওয়া যেতে পারে। বোয়িং ৭৭৭ – যেটি সবথেকে বড় বিমান, সেটি যাতে নামতে পারে, সেই মতো জমি দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
কলকাতা: ব্রিটিশ যুগে দিল্লির আগে দেশের শাসনকার্য পরিচালিত হত কলকাতা (Kolkata) থেকেই। দেশের রাজধানী পরিবর্তিত হলেও, কলকাতার গুরুত্ব কমেনি একফোটাও। সেই কারণেই শহরে প্রয়োজন আরও একটি বিমানবন্দরের (Airport)। সম্প্রতি রাজ্য সরকার সবত্রেও জানানো হয়েছিল, দ্বিতীয় বিমানবন্দর তৈরির জন্য ভাঙড়ে জমির খোঁজ চলছে। রবিবার কেন্দ্রীয় অসামরিক উড়ান মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া(Jyotiraditya Scindia)-ও জানান যে, কেন্দ্রের তরফে পশ্চিমবঙ্গের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য় যে বিশাল পরিকল্পনা করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল কলকাতায় দ্বিতীয় বিমানবন্দর। কেন্দ্রের তরফে প্রস্তাব পাঠানো হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার এখনও কোনও জমি দিতে পারেননি সেই বিমানবন্দর তৈরির জন্য।
অসামরিক উড়ানমন্ত্রা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানান, তিনি বিগত ছয় মাস ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসার চেষ্টা করছেন, কিন্তু কোনও জবাব মিলছে না রাজ্য সরকারের তরফে। কলকাতায় অবস্থিত নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী পরিষেবা ক্ষমতা সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে যাওয়ায়, কলকাতার মতো মেট্রো শহরে আরও একটি বিমানবন্দরের প্রয়োজন বলেই তিনি জানান।
রবিবার কলকাতায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে জ্যোতিরাদিত্য় সিন্ধিয়া বলেন, “আমরা চাই কলকাতায় একটা নতুন বিমানবন্দর তৈরি হোক, কারণ বর্তমান বিমানবন্দর তার যাত্রী পরিষেবা ক্ষমতার সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই একাধিক চিঠি ও মতামত আদানপ্রদান করা হয়েছে নতুন বিমানবন্দরের জন্য জমি নিয়ে, কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে কোনও বিশেষ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।”
রাজ্যের অসামরিক উড়ান পরিবহন ব্যবস্থা ঘিরে কেন্দ্রের একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে, একথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “প্রস্তাবিত নতুন বিমানবন্দরের কাজ শুরু করা হবে কি করে, যদি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে কোনও ফাঁকা জমিই না দেওয়া হয়।” সিন্ধিয়া বলেন, “আমরা বর্তমান বিমানবন্দর (নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর)-র জন্য ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছি। আগামিদিনেই একটি নতুন টেকনিক্য়াল ব্লক তথা কন্ট্রোল টাওয়ার তৈরি করা হবে ৩০০কোটি টাকা খরচ করে। যানবাহনের যাতায়াতের জন্য নতুন ট্যাক্সিওয়ে তৈরি করা হচ্ছে, যার জন্য ২৫৬ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। ১১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের সঙ্গে মেট্রোরেলকে সংযুক্ত করতে।”
পূর্ব মেট্রোপলিস থেকে যাত্রীদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায়, তাদের যাবতীয় চাহিদা পূরণ করতেই ২ লক্ষ স্কোয়ার মিটারের নতুন বিমানবন্দরের প্রয়োজন বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি জানান, কলকাতার বর্তমান বিমানবন্দরের যাত্রী পরিষেবা ক্ষমতা আড়াই কোটি, নতুন বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিংয়ে সাড়ে তিন কোটি যাত্রী একই সময়ে যাতায়াত করতে পারবেন।
যদি রাজ্য় সরকার সহযোগিতা করে এবং একসঙ্গে কাজ করে, তবে নতুন বিমানবন্দরে আরও ভাল পরিষেবা দেওয়া যাবে। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু বিমানবন্দরে বর্তমানে দৈনিক ৮৬০০ যাত্রী যাতায়াত করে। নতুন বিমানবন্দরে দৈনিক ১০ থেকে ১১ হাজার যাত্রী পরিবহন ও পরিষেবা দেওয়াই লক্ষ্য।
নবান্ন সূত্রে খবর, জমি বাছাইয়ের জন্য প্রাথমিকভাবে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ভাঙড়। যেহেতু নতুন বিমানবন্দরটি কলকাতা বিমানবন্দরের চাপ কমানোর জন্য তৈরি হবে, সেই জন্য এই বিমানবন্দরটির গুরুত্বও কম হবে না। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমানের চাপ কমাতে কিছু বিমান ভাঙড়ে দিয়েই ওঠা নামা করবে। সেক্ষেত্রে গুরুত্বের বিচারে দমদমের সঙ্গে প্রায় সমতুল্যই হতে চলেছে নতুন বিমানবন্দর। বিমান ওঠানামার জন্য তিন কিলোমিটার দীর্ঘ রানওয়ে এবং তার সঙ্গে অনেকগুলি হ্যাঙ্গার থাকবে নতুন এই বিমানবন্দরে।
প্রাথমিকভাবে ভাঙড়কে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় এলাকায় একসঙ্গে অনেকটা জমি পাওয়া যেতে পারে। বোয়িং ৭৭৭ – যেটি সবথেকে বড় বিমান, সেটি যাতে নামতে পারে, সেই মতো জমি দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।