নয়া দিল্লি : বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। সেই অধিবেশনে সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বক্তৃতা দেন উত্তর পূর্ব অঞ্চলের কেন্দ্রীয় উন্নয়নমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। তিনি এদিন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন উন্নয়নের খতিয়ান দেন তাঁর বক্তৃতায়। জি কিষাণ রেড্ডি এদিন বলেছেন যে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে বিদ্রোহ-সম্পর্কিত ঘটনাগুলি গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছ। এই ধরনের ঘটনাগুলি ২০১৪ সালে ৮২৪ থেকে ২০২০ সালে ১৬৩ তে নেমে এসেছে। এর ফলে বেসামরিক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মৃত্যু উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। উচ্চকক্ষে তিনি বলেছেন, “দুবাইতে ৪ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ অবধি ওয়ার্ল্ড এক্সপো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উত্তর-পূর্বে বিনিয়োগ আনার জন্য এই এক্সপো করা হচ্ছে। উত্তর-পূর্বের সাত থেকে আট রাজ্য সরকার মিলে এই এক্সপো করা হয়েছে। বিশ্বের আলাদা আলাদা জায়গা থেকে বিনিয়োগ আনার উদ্দেশেই আমাদের এই প্রয়াস।”
উত্তর-পূর্ব রাজ্যে উন্নয়নের খতিয়ান দিয়ে তিনি আরও বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর যে লক্ষ্য সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস। সেই ভাবনা নিয়েই উত্তর-পূর্বের সাত-আটটি রাজ্যের ২৮ টি জেলাকে অনুন্নত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। ২০২১ এর সেপ্টেম্বর অবধি প্রধানমন্ত্রীর জনধন যোজনার অধীনে ৪৩৪ লাখ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।” “আয়ুষ্মান ভারতের অধীনে ৪০ লাখ পরিবারের মধ্যে আয়ুষ্মান ভারত কার্ড বিতরণ হয়েছে। মানরেগার অধীনে ২০১৬ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৩১ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।”
মোদীর উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জয়জয়কার শোনা গিয়েছে এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কণ্ঠে। তিনি বলেছেন, “উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধির একটি নতুন পর্যায় শুরু হয়েছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত পরিবর্তনের লক্ষ্যে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।” তিনি জানিয়েছেন যে, এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যার কারণে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সংযোগ প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। জি কিষাণ রেড্ডি বলেছেন, “উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে ৫৪টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের মোট বাজেটে প্রায় ১১০% বৃদ্ধি পেয়েছে যার পরিমাণ ৭৬,০৪০ কোটি টাকা।”
তিনি আরও বলেছেন, “এই অঞ্চলে রেল, সড়ক, বিমান, জল এবং টেলিকম যোগাযোগের উন্নতির জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এর ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধি সক্ষম হয়েছে। ২০১৪-২০২১ সাল থেকে রেল যোগাযোগের উন্নতির জন্য ৩৯,০০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেছেন, “উত্তর পূর্ব অঞ্চলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নিয়মিত সফর কেন্দ্রীয় সেক্টর এবং কেন্দ্রের তরফে স্পনসর করা স্কিমগুলির কার্যকর বাস্তবায়নে পরিবর্তন আনছে এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক সংযোগের সঙ্গে সঙ্গে উত্তর-পূর্বে কেন্দ্রীয়ভাবে স্পনসরকৃত স্কিমগুলির কার্যকরী বাস্তবায়নে পরিবর্তন আনছে।”
আরও পড়ুন : Tripura Rape Case: ধর্ষককে ঘিরে ধরলেন মহিলারা! তারপর যা হল, কল্পনা করতেও গায়ে কাঁটা দেবে…