অমৃতসর: আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী রাজ্য হওয়ায় পঞ্জাবের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বরাবরই থাকে উদ্বেগ। ২০২২ সালে পাশা বদল হয় পঞ্জাবে। কংগ্রেসকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করে আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party)। কিন্তু নতুন সরকারের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার পরই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিকির আরও অবনতি হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। রবিবার একটি জনসভা থেকে পঞ্জাবের শাসক দল আম আদমি পার্টি ও মুখ্য়মন্ত্রী ভগবন্ত মান(Bhagwant Mann)-কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “পঞ্জাবের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও খারাপ হচ্ছে। কিন্তু মুখ্য়মন্ত্রী ভগবন্ত মানের তা দেখার সময় নেই। কারণ ওঁর একমাত্র কাজ মনে হচ্ছে অরবিন্দ কেজরীবালের দেশ জুড়ে সফরের জন্য রাজ্যের বিমান ব্য়বহার করতে দেওয়া।”
ভগবন্ত মানকে আক্রমণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “আমার মনে মাঝে-মধ্য়ে প্রশ্ন জেগে ওঠে যে ওঁ (ভগবন্ত মান) মুখ্য়মন্ত্রী নাকি পাইলট… অরবিন্দ কেজরীবালের দেশ সফর পরিচালন করছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের পঞ্জাবের সমস্যা সমাধানের সময় নেই। মুখ্যমন্ত্রী গোটা দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভগবন্ত মান যদি নিজে যেতেন, তাও মানা যেত। কিন্তু কেজরীবালের পাইলট হয়ে ঘুরে বেড়াবেন?”
প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের নবম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে আপ সরকারকে আক্রমণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “আমি আমার গোটা জীবনে আম আদমি পার্টির সরকারের মতো কোনও সরকার দেখিনি। এরা শুধু ফাঁপা প্রতিশ্রুতিই দিতে পারে। মুখ্য়মন্ত্রীর একটাই কাজ। যদি কেজরীবাল চেন্নাই যান, তবে উনি এখান থেকে বিমান নিয়ে দিল্লিতে যান, সেখান থেকে কেজরীবালকে নিয়ে চেন্নাই যান। যদি কেজরীবালের কলকাতা যাওয়ার থাকে, তবে রাজ্যের বিমানে কেজরীবালকে কলকাতা নিয়ে যান। ওঁর গোটা সময়টাই কেজরীবালের ট্যুর ব্যবস্থা করতেই চলে যায়। আর তার ফল হিসাবেই পঞ্জাবের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।”
রাজ্য়ে মাদক ব্য়বসা বাড়ছে, এদিকে মুখ্য়মন্ত্রীর কৃষকদের সঙ্গেও তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলার সময় নেই বলেও আক্রমণ করেন অমিত শাহ। আপের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলি তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমি এখানে ভগবন্ত মান ও কেজরীবালকে প্রশ্ন করতে এসেছি যে ওঁরা রাজ্য়ের প্রত্যেক মহিলাকে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে দেবেন বলেছিলেন। কিন্তু এখনও সেই টাকা পাননি। ১০০০ টাকার কথা বলছেন, ১০০০ পয়সাও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়নি। অন্য়দিকে মোদী সরকারকে দেখুন। বিগত নয় বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।”