AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Amit Shah on NCB: NCB-কে সতর্কবার্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর, মাদক কাণ্ডে আরিয়ান খানের গ্রেফতারিতে মুখ-চুন হওয়ারই জের?

NCB Investigation: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, "যারা মাদক সেবন  করেন, তারা অপরাধী নন, বরং  শিকার। ওনাদের রিহ্যাবের প্রয়োজন।"

Amit Shah on NCB: NCB-কে সতর্কবার্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর, মাদক কাণ্ডে আরিয়ান খানের গ্রেফতারিতে মুখ-চুন হওয়ারই জের?
মাদক মামলা নিয়ে এনসিবিকে সতর্ক করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
| Edited By: | Updated on: Apr 20, 2023 | 8:46 AM
Share

নয়া দিল্লি: আরিয়ান খানের (Aryan Khan) মাদক মামলা মনে রয়েছে নিশ্চয়ই। মুম্বইয়ের এক প্রমোদতরী থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (Narcotics Control Bureau) হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) ছেলে। প্রায় ১০ মাস মামলা চলার পর অবশেষে আরিয়ান খানকে নির্দোষ ঘোষণা করে আদালত। এনসিবির তদন্ত নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। সেই ঘটনাকে মাথায় রেখেই এবার এনসিবিকে সতর্ক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বুধবার তিনি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে সতর্ক করে বলেন, “শুধুমাত্র মাদক গ্রাহকদের নিশানা না করে, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর উচিত মাদক পাচারকারী ও ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা।” 

বুধবার সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের অ্যান্টি নারকোটিক্স টাস্ক ফোর্সের মিলিত কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই তিনি বলেন, “যারা মাদক সেবন  করেন, তারা অপরাধী নন, বরং  শিকার। ওনাদের রিহ্যাবের প্রয়োজন।”  

মাদক সংক্রান্ত সন্ত্রাসবাদ এবং দেশের অর্থনীতি ও নিরাপত্তায় এর প্রভাব সম্পর্কেও আলোচনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য ও পন্থা যেন সকলের কাছে অত্য়ন্ত স্পষ্ট থাকে। এটা মাথায় রাখতে হবে যে যারা মাদক সেবন করছেন, তারা অপরাধের শিকার। যারা মাদক ব্যবসা করেন, তারা আসল অপরাধী এবং তাদের কঠোর হাতে দমন করা উচিত। যারা মাদক সেবন করেন, তাদের রিহ্য়াবের জন্য আমাদের সাহায্য করা উচিত। আমাদের তদন্তের লক্ষ্য হওয়া উচিত মাদক ব্যবসায়ী, চক্র ও পাচারকারীরা।”

তিনি আরও বলেন, “মাদক বর্তমান প্রজন্মকে কেবল ভিতর থেকে ফাঁকাই করে দিচ্ছে না, দেশের অর্থনীতিতেও এর একাধিক খারাপ প্রভাব পড়ছে। মাদক সম্পর্কিত সন্ত্রাসবাদ বা নারকো-টেররিজমের মাধ্যমে মাদক পাচারকারীরা দেশের সীমান্তের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিঘ্ন করছে। আমরা যদি ১৩০ কোটি ভারতীয় এর  বিরুদ্ধে মিলিতভাবে লড়াই করি, তবে আমরা এই যুদ্ধে জয়ী হবই।”

 কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই জল্পনা শুরু হয়েছে, ২০২১ সালে আরিয়ান খানের হাই প্রোফাইল মামলাকে যেভাবে এনসিবি যেভাবে সামলেছিল এবং তা নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, সেই ঘটনার পরই কড়া বার্তা দেওয়া হল কেন্দ্রের তরফে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে কর্ডেলিয়া নামক একটি প্রমোদতরীতে তল্লাশি অভিযান চালায় এনসিবি। সেই তল্লাশি অভিযানেই বলিউডের সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে প্রথমে আটক ও পরে মাদক রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করে এনসিবি। পরে যদিও এনসিবির বিশেষ তদন্তকারী দল অভ্যন্তরীণ তদন্ত করে জানায়, আরিয়ান খানের গ্রেফতারি কাণ্ডে তদন্তে একাধিক গাফিলতি ছিল এবং তদন্তকারী দলের গতিবিধিও সন্দেহজনক ছিল।