নয়া দিল্লি: আরও এক জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র। জঈশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি সংগঠন পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট (PAFF)-কে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুধু PAFF নয়, আরবাজ আহমেদ মীর নামে লস্কর-ই-তৈবার এক সদস্যকেও জঙ্গি বলে ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
এদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, আরবাজ আহমেদ মীর লস্কর-ই-তৈবার সদস্য এবং বেআইনি ও সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মে অভিযুক্ত। অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে PAFF। সক্রিয়ভাবে এবং সামাজিক মাধ্যম- দু তরফেই এই সংগঠনটি রাজনৈতিক নেতা থেকে সাধারণ নাগরিকদের কাজকর্মে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। জম্মু-কাশ্মীর সহ ভারতের বড় বড় শহরেগুলিতে সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক এবং জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত PAFF। যুবদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বলা ভাল, মগজধোলাই করে তাদের হাতে বন্দুক, বোমা এবং আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই সংগঠনটি কাজ করে। বিভিন্ন জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গেও এই সংগঠনটির সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এদিনই নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, সংবিধানের ৩৫ নম্বর ধারার (১) উপ-ধারায় অসামাজিক কার্যকলাপের অধীনে PAFF সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও এক নির্দেশিকা জারি করে। সেখানে আরবাজ আহমেদ মীরকে জঙ্গি তকমা দিয়ে বলা হয়, আরবাজ আহমেদ মীর জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে সে পাকিস্তানের বসবাস করে এবং জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করে। মাস কয়েক আগে জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাঁওয়ে এক মহিলা শিক্ষিকার হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আরবাজ আহমেদ মীর জড়িত বলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্টে প্রকাশিত। এছাড়া উপত্যকায় জঙ্গিমূলক কার্যকলাপের জন্য সীমান্ত দিয়ে বেআইনি অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে মীর জড়িত বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে।