নয়া দিল্লি: ফের সরব কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী (Union Law Minister) কিরেণ রিজিজু (Kiren Rijiju)। এবার একাংশ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে আক্রমণ করলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভারত বিরোধী। তাঁরা বিচারব্যবস্থাকে একটি বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করানোর চেষ্টা করছেন। এর পাশাপাশি বলেন, যাঁরা ভারতের বিরুদ্ধে কাজ করছেন, তাঁদের সেই মূল্য চোকাতে হবে।
শনিবার সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে কর্তৃক অনুষ্ঠিত কনক্লেভে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। সেই অনুষ্ঠানেই তিনি বলেন, “কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক – সম্ভবত তিন বা চারজন – তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ভারত বিরোধী গ্যাংয়ের অংশ – এই লোকেরা ভারতীয় বিচার বিভাগকে দিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করানোর চেষ্টা করছে।” তিনি আরও বলেন, “কেউ কেউ সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে বলেন, দয়া করে সরকারের ওপর লাগাম লাগান। এটা ঘটতে পারে না। বিচার ব্যবস্থা নিরপেক্ষ এবং বিচারকরা কোনও গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দলের অংশ নয়। এই লোকেরা কীভাবে খোলাখুলিভাবে বলতে পারেন যে ভারতীয় বিচার বিভাগের উচিত সরকারের মাথা নত করা?”
তিনি এই আলোচনা সভা থেকে কলেজিয়াম সিস্টেম নিয়েও মন্তব্য করেন। সুপ্রিম কোর্টের এই কলেজিয়াম সিস্টেমে তোপ দেগে তিনি বলেন, কংগ্রেস আমলের অযাচিত হস্তক্ষেপের ফলেই সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম সিস্টেম শুরু হয়েছে। তিনি বলেছেন, “সংবিধান অনুযায়ী, দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি একসঙ্গে আলোচনা করে বিচারপতিদের নিয়োগ করবেন। তবে কলেজিয়াম ব্যবস্থায় তা হয় না।” এদিকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। তিনি আবার বিচারপতি নিয়োগে এই কলেজিয়াম ব্যবস্থার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। চন্দ্রচূড় বলেন, “কোনও সিস্টেমই ত্রুটিমুক্ত নয়। তবে যে সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে সেটাই সবথেকে ভাল।” তিনি বলেছেন, কলেজিয়াম সিস্টেমের ফলে, বিচারপতি নিয়োগে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বজায় থাকে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্র ও সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে অনেকদিন ধরেই কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। এই পরিস্থিতিতেই ফের একবার এই সিস্টেমের বিরোধিতায় কনক্লেভের মঞ্চ থেকেই সুর চড়ালেন আইনমন্ত্রী। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, যতদিন না বিচারপতি নিয়োগের নতুন কোনও নিয়ম ভারতে আসছে, ততদিন কলেজিয়াম সিস্টেমকে মান্যতা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।