
ভারতের তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এক নয়া অধ্যায়ের সূচনা। গত ২২ সেপ্টেম্বর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ঘোষণা করেন যে ডকুমেন্ট, স্প্রেড শিট ও প্রেজেন্টেশনের জন্য তিনি এবার থেকে ব্যবহার করবেন জোহো। তিনি লেখেন, আমি এবার জোহোতে চলে যাচ্ছি। আমাদের নিজেদের প্ল্যাটফর্ম। অর্থাৎ তিনি সেদিনই জানিয়ে দেন অফিসের যে একাধিক কাজের জন্য এবার থেকে মাইক্রসফট অফিস বা গুগলের ডকস তিনি আর ব্যবহার করবেন না। এটি ছিল কার্যত এক নতুন অধ্যায়ের সূচনার ঘোষণা।
I am moving to Zoho — our own Swadeshi platform for documents, spreadsheets & presentations. 🇮🇳
I urge all to join PM Shri @narendramodi Ji’s call for Swadeshi by adopting indigenous products & services. pic.twitter.com/k3nu7bkB1S
— Ashwini Vaishnaw (@AshwiniVaishnaw) September 22, 2025
আর তারপর ২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার, ক্যাবিনেট ব্রিফিং করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আর তখনই তৈরি হল ইতিহাস। সেই ব্রিফিংয়ে তিনি ব্যবহার করলেন জোহো। এবং সেই ব্রিফিংয়ের শুরুতেই তিনি ঘোষণা করলেন, আজকের যে পিপিটি তৈরি করা হয়েছে, সেটা জোহোতেই তৈরি করা হয়েছে।
Switch to Swadeshi!
Cabinet briefing using Zoho Show. pic.twitter.com/wacKUajwsa
— Ashwini Vaishnaw (@AshwiniVaishnaw) September 24, 2025
১৯৯৬ সালে শ্রীধর ভেমবু ও টনি টমাস জোহো তৈরি করেন। এই সংস্থার সদর দফতর চেন্নাইয়ে। জোহো একটি সফটওয়্যার কোম্পানি, যা ব্যবসায়ী ও পেশাদারদের জন্য ৫৫টির বেশি ক্লাউড-ভিত্তিক টুল সরবরাহ করে। ইমেল, অ্যাকাউন্টিং, এইচআর বা প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্টের মতো সব ধরনের কাজের জন্য সফটওয়্যার রয়েছে জোহোর।
আমেরিকায় এই সংস্থা নথিবদ্ধ হলেও সংস্থার বেশিরভাগ কাজই হয় তামিলনাড়ু থেকে। ১৫০টিরও বেশি দেশে জোহোর ১০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। ফলে, এই সংস্থা যে কেবলমাত্র স্বনির্ভর ভারতের প্রতীক, এমনটা নয়। এই সংস্থা প্রমাণ করে যে ভারতীয় সংস্থাগুলোও পারে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোকে কঠিন চ্যালেঞ্জ দিতে।