নয়া দিল্লি: স্বপ্ন ছিল বলিউডের হিরো হওয়ার। কিন্তু ডেবিউ সিনেমাই সুপার ফ্লপ। তারপর আর পা মাড়াননি বলিউডের দিকে। তবে প্রথম নায়িকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়নি। দীর্ঘ বিরতির পর আবার তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ। তবে এবার আর বড় পর্দায় নয়, রাজনীতির ময়দানে। এবার লোকসভায় নির্বাচিত হয়ে সংসদে পা রেখেছেন এলজেপির প্রধান চিরাগ পাসওয়ান এবং বিজেপির সাংসদ কঙ্গনা রানাউত। তাঁদের বন্ধুত্বের সমীকরণ নিয়ে প্রথম দিন থেকেই চর্চা। রাজনীতির পাশাপাশি বড় পর্দাতেও কি দেখা যাবে তাঁদের? উত্তর দিলেন এলজেপি সাংসদ নিজেই।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ান তাঁর বলিউডের অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যতে ফের অভিনয়ে ফিরবেন কি না, তা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, “আবার? একদমই না। ২০১১ সালে আমার প্রথম সিনেমা ‘মিলে না মিলে হাম’ ডিজাস্টার ছিল। যারা সিনেমা দেখেছেন, তাঁরাও আমার সঙ্গে সহমত হবেন। আমার বলিউডে কামব্যাক করার কোনও পরিকল্পনা নেই।”
নিজেকে অত্যন্ত খারাপ অভিনেতা হিসাবে পরিচয় দিয়ে চিরাগ বলেন যে তাঁর প্রথম হিরোইন তথা বর্তমানে সহকর্মী কঙ্গনা রানাউত আর কখনও তাঁর সঙ্গে অভিনয় করতে রাজি হবেন না।
রাজনীতিতে এখন তিনি পরিচিত মুখ। ব্যক্তিগত জীবনে কী পরিকল্পনা তাঁর? বিয়ে করবেন কবে? এই প্রশ্নের উত্তরে চিরাগ পাসওয়ান বলেন, “আপাতত দুই বছরের জন্য বিয়ে করার কোনও পরিকল্পনা নেই। আমার সব সময়টা রাজনীতিতেই দিতে চাই, বিশেষ করে আগামী বছর বিহারে নির্বাচন রয়েছে।”
চিরাগ আরও বলেন, “আমার মতে বিবাহ হল বড় দায়িত্ব। আপনি নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখলেন আর স্ত্রীকে এসে বললেন যে আমার কাজই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ-এটা হতে পারে না। যদি কাজই প্রথম গুরুত্ব হয়, তবে তা আগেই স্পষ্ট করে জানানো উচিত। আমি নিজের কাজের সঙ্গে বিবাহিত। যদি আমার সহধর্মীকে সময়ই না দিতে পারি, তবে আমি বিয়ে করব না।”
সাংসদ হওয়ার পর বিয়ের প্রস্তাব পাচ্ছেন কি না, এই প্রশ্নে লজ্জায় লাল হয়ে বলেন, “আমার মা এইসব বিষয় দেখছেন। আমার তো প্রশ্ন শুনেই লজ্জা লাগছে।”