নয়া দিল্লি: দুই লাখের গণ্ডি পার করেছে দেশে করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্য়া। একাধিক রাজ্যে জারি হয়েছে নানা বিধি নিষেধ। এই পরিস্থিতি সরকারি কর্মচারীদের সুরক্ষার কথা ভেবেই বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা সংক্রমণ রুখতে অফিসের সময়ে যেমন কাটছাট করা হয়েছে, তেমনই ফিরিয়ে আনা হয়েছে বাড়ি থেকে কাজের ব্যবস্থা।
কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, যারা সচিব স্তরে কাজ করেন বা তার অধীনে, তারা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন। দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশের বেশি হওয়া যাবে না। অর্থাৎ অর্ধেক সংখ্যক কর্মী দিয়ে কাজ পরিচালন করতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “যে সমস্ত অফিসাররা শারীরিকভাবে অফিসে উপস্থিত থাকছেন, তাঁরা সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই চলে যেতে পারবেন। যাঁরা কন্টেনমেন্ট জো়নে বসবাস করছেন, তাঁদের অফিসে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই। তবে উপ-সচিব পদ থেকে শুরু করে তার উচু স্তরের সরকারি কর্মীদের প্রতিদিন অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে।”
তবে কর্মপদ্ধতি সচল রাখতে একইসঙ্গে বলা হয়েছে, “যে সমস্ত সরকারি অফিসাররা নির্দিষ্ট দিনে অফিস আসবেন না, তাকে সেই দিনটি সবসময় ফোনে যাতে যোগাযোগ করা যায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।”
করোনা সংক্রমণ রুখতে লিফ্ট, সিড়ি, করিডোর থেকে শুরু করে খাবার জায়গা ও পার্কিং এলাকাতে ভিড় জমানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শারীরিক সংস্পর্শ এড়াতে যথাসম্ভব ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে মিটিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট কোনও কাজের জন্য অফিসে আগত ব্যক্তিদের আনাগোনাতেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ৪৫ উর্ধ্ব সমস্ত ব্যক্তিকে টিকা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। আপাতত আগামী ৩০ এপ্রিল অবধি এই নির্দেশিকা জারি থাকবে।
আরও পড়ুন: একই বেডে গাদাগাদি করে চিকিৎসা দুই রোগীর, ওয়ার্ডে ছড়িয়ে মৃতদেহ, করোনায় নাকাল দিল্লি