Rail Accident: ক্রিকেট দেখতে ব্যস্ত লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্টেন্ট! তাঁদের দোষেই শেষ তরতাজা ১৪টি প্রাণ
Ashwini Vaishnaw: রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, "আমরা এবার ট্রেনে এক বিশেষ ধরনের সিস্টেম বসাচ্ছি যা এই ধরনের অমনোযোগী কাজকর্মকে ধরে ফেলবে। লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্টেন্ট পাইলট যেন মনোযোগ দিয়ে ট্রেন চালান, তাও নিশ্চিত করবে এই সিস্টেম।"

নয়া দিল্লি: ভারতীয় রেলের ইতিহাসে একটা কালো অধ্যায় ছিল ২০২৩ সাল। ভয়ঙ্কর করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল গোটা দেশ, যে দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছিল ১৮৮ জন যাত্রীর প্রাণ। তবে শুধু করমণ্ডলই নয়, ওই বছরই অন্ধ্র প্রদেশেও ঘটেছিল আরেকটি মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনা, প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৪ জন, আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ৫০ জন। সেই দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল এতদিন। অবশেষে তা দূর হল। অন্ধ্র প্রদেশের সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার আসল কারণ জানালেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
শনিবার কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ভারতীয় রেলওয়ের সুরক্ষা কবচ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েই এই দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। জানান, ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর অন্ধ্র প্রদেশের কান্তাকাপল্লীতে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেন এসে পিছন থেকে ধাক্কা মেরেছিল বিশাখাপত্তনম-পালাসা ট্রেনকে। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১৪ জনের, আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ৫০ জন।
রেলমন্ত্রী জানান, দুর্ঘটনার আসল কারণ ছিল ট্রেনের চালক ও সহকারী চালক-দুইজনই মোবাইলে ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে ব্যস্ত ছিলেন। ট্রেন কোন লাইনে ঢুকে যাচ্ছে, সে দিকে তাদের হুঁশই ছিল না।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “আমরা এবার ট্রেনে এক বিশেষ ধরনের সিস্টেম বসাচ্ছি যা এই ধরনের অমনোযোগী কাজকর্মকে ধরে ফেলবে। লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্টেন্ট পাইলট যেন মনোযোগ দিয়ে ট্রেন চালান, তাও নিশ্চিত করবে এই সিস্টেম।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা রেলের নিরাপত্তায় বরাবরের মতো গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রত্য়েকটা দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি এবং তার সমাধানও বের করার চেষ্টা করছি যাতে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা আর না ঘটে। কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ হওয়া এখনও বাকি, তবে প্রাথমিক তদন্তেই জানা গিয়েছিল অন্ধ্র প্রদেশের ওই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ছিল রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চালক ও অ্যাসিস্টেন্ট চালক। ওরা দুটি অটো সিগন্যাল নিয়ম ভেঙেছিল। দুর্ঘটনায় ওই দুই চালকেরই মৃত্যু হয়।”





