
আধারের ডেটা বেস ঝেড়ে মুছে পরিষ্কার করল দেশের ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। ২৬ নভেম্বর তারা জানিয়ে দিল যে ইতিমধ্যেই ২ কোটিরও বেশি আধার নম্বর তারা ডিঅ্যাকটিভেট করে ফেলেছে। এতদিন ধরে এই আধার অ্যাকাউন্টগুলো সক্রিয় থেকে কোটি কোটি টাকার পেনশন ও ভর্তুকি জালিয়াতি হচ্ছিল। এ ছাড়াও এই সব আধার কার্ড ভুয়ো ঋণ নেওয়া বা ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরির মতো কাজে ব্যবহৃত হত বলেও খবর।
প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী এটি বিশ্বের বৃহত্তম ডেটাবেস পরিষ্কারের প্রক্রিয়া। কিন্তু এই ২ কোটি আধার কার্ড কীভাবে খুঁজে বের করা হল? আসলে ইউআইডিএআই রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার ডেথ রেজিস্ট্রি, পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের ক্যানসেল হওয়া রেশন কার্ড বা ন্যাশনাল সোশ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামের মতো সরকারি বিভাগের ডেটার সঙ্গে আধার মিলিয়ে দেখছে।
কোনও আধার নম্বর যদি একবার বাতিল হয়ে যায় তাহলে সেই নম্বর চিরতরে বন্ধ হয়ে গেল। আর কোনও নবজাতককেও এই নম্বর দেওয়া হবে না। এর ফলে কোনও জালিয়াতই মৃত ব্যক্তির পরিচয় ব্যবহার করে আর নতুন কোনও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না।
একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে এই ক্ষেত্রে আপনারও একটা দায়িত্ব থেকে যায়। আপনার পরিবারের কেউ প্রয়াত হলে আপনি নিজেই তা আধার কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করুন। দেশের ২৫টির বেশি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই সুবিধা চালু হয়েছে।
আশা করা হচ্ছে দেশের বাকি রাজ্যগুলিও ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে এই পরিষেবায় যুক্ত হবে। ইউআইডিএআইয়ের এই পদক্ষেপে শুধু জালিয়াতি বন্ধ হবে না, দেশের ৯৯ শতাংশ নাগরিকের ডেটাবেস আরও নির্ভুল ও সুরক্ষিত হবে।