মুজফ্ফরপুর: ছোট দেওয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বৌদির। স্বামীর অজান্তেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী। স্বামীর ছোট ভাইয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও ছিল ওই মহিলার। সম্প্রতি স্বামী কাজ থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর ছোট ভাইয়ের সঙ্গে যৌনতা করছেন তাঁর স্ত্রী। তা দেখে প্রবল রেগে যান ওই ব্যক্তি। স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের বিরোধিতা করেন তিনি। এর পরই নিখোঁজ হয়ে যান ওই ব্যক্তি। তার পর একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির পায়খানার চেম্বার থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক দেওর খুন করে দেহ পুঁতেছিলেন টয়লেট পিটে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের মুজফ্ফরনগর জেলায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রীর ও তাঁর প্রেমিকের হাতে খুন হওয়া ওই ব্যক্তির নাম সাগর। ৬ জুন থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। সাগরের স্ত্রী আশিয়া। সাগরের ভাই সুহেলের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল আশিয়ার। সম্প্রতি সেই সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়াতেই খুন হতে হয় সাগরকে। পুলিশ জানিয়েছে, সুহেল ও আশিয়া খুন করে সাগরকে। খুনের তিন দিন পর দেহ নির্মীয়মাণ বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে চাপা দেয়। খুনের পর ওই বাড়িতেই থাকছিলেন দুই অভিযুক্ত। তবে সাগরের খোঁজ না পেয়ে তাঁর পরিবারের লোকেরা নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে। এর পর তদন্তে নামে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ আশিয়া ও সুহেলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশি জেরার সময়ই সাগরকে খুনের কথা স্বীকার করে নেন দুই অভিযুক্ত। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ায় এই খুন বলে জানিয়েছেন জ্ঞানেশ্বর বোধ নামের এক পুলিশ অফিসার। তিনি বলেছেন, “আশিয়া জানিয়েছে, প্রেমিক সুহেলের সাহায্যে সাগরকে খুন করে দেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে ভরে রেখেছিল সে। দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।”