AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Uttar Pradesh: খুন করে, স্বামীর বিছানায় সাপ ছেড়ে দিল স্ত্রী! ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা, শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে

Uttar Pradesh: ফের ঘটনার এপিসেন্টার মিরাট। ক'দিন আগেই সৌরভ হত্যা মামলা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। সৌরভের স্ত্রী মুসকান, তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে মিলে প্রথমে হত্যা করেন নিজের স্বামীকে।

Uttar Pradesh: খুন করে, স্বামীর বিছানায় সাপ ছেড়ে দিল স্ত্রী! ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা, শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে
| Updated on: Apr 17, 2025 | 5:40 PM
Share

প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন। সেই খুন ঢাকতে সাপের আশ্রয় নিল যুগল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মিরাটের বাহসুমা থানা এলাকায়। যা দেখে অনেকের মনে পড়ে যাচ্ছে সৌরভ হত্যা,মামলার।

ফের ঘটনার এপিসেন্টার মিরাট। ক’দিন আগেই সৌরভ হত্যা মামলা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। সৌরভের স্ত্রী মুসকান, তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে মিলে প্রথমে হত্যা করেন নিজের স্বামীকে। তারপর একটি নীল ড্রামে মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে পুড়ে সিমেন্ট দিয়ে তা সিল করে দিয়েছিলেন যুগল। এই ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল গোটা দেশে। এবারও আবারও এক ভয়ানক হত্যা ঘটনা সামনে এসেছে।

নিজের প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে প্রথমে গলা টিপে খুন করেন স্ত্রী। তারপর সেই তা যাতে বোঝা না যায় তাই বাজার থেকে সাপ কিনে এনে বিছানায় ছেড়ে দেন তাঁরা। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসতেই সবটা ধরা পড়ে যায়।

রবিবার সকালে, অমিত নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয় নিজের বাড়ির একটি খাটের উপর থেকে। প্রাথমিকভাবে, পরিবার এবং স্ত্রী রবিতা দাবি করেন, সাপের কামড়ে অমিতের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহের নিচে একটি জীবন্ত সাপ বসে থাকতেও দেখা যায়। যা বিষয়টিকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। কিন্তু অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে ময়নাতদন্ত হয়। এক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতেই জানা যায় আসল সত্যিটা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় তদন্ত। জানা যায় অমিতের মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধ হওয়ার কারণে।

এসপি রুরাল রাকেশ কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় স্ত্রী রবিতা পুরো ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করেছেন। রবিতার তাঁর স্বামী অমিতের বন্ধু অমরদীপের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অমিত যখন এই কথা জানতে পারে, তখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এর পর, রবিতা এবং অমরদীপ একসঙ্গে অমিতকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে।

রবিতা এবং অমরদীপ প্রথমে অমিতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর ১,০০০ টাকা দিয়ে একটি সাপ কিনে আনেন। হত্যার পর, সেই সাপটিকে বিছানার নিচে রেখে দেন। যাতে মনে হয় সাপের কামড়ে অমিতের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে, পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এমনকি দাবি করা হয়েছিল যে সাপটি অমিতকে দশবার কামড়েছিল।

জানা যায় যে অমিতের বন্ধু ছিল অমরদীপ, যে তার স্ত্রী রবিতার সঙ্গে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। তাদের দুজনের সম্পর্ক এতটাই ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এরপর রবিতা অমিতকে হত্যার পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করে। প্রেমিকের সঙ্গে মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।