নয়া দিল্লি: নাম এক, রোল নম্বর এক। পরীক্ষায় দুইজনের র্যাঙ্কও এক। এবার আমলা হবে কে? এই নিয়েই শুরু হয়েছিল বিরোধ। ইউপিএসসি পরীক্ষায় মধ্য প্রদেশের আয়েশা নামক দুই পরীক্ষার্থীরই একই রোল নম্বর ও র্যাঙ্ক হওয়াকে ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছিল। আসল প্রার্থী দাবি করে দুইজনই পুলিশ (Police) ও ইউপিএসসি (UPSC) কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছিল। ওই অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করে ইউপিএসসি। জানা যায়, আয়েশা মাকরানি নামক পরীক্ষার্থীই ভুয়ো। অন্যদিকে, তদন্তেই বিহারের এক ভুয়ো প্রার্থীরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (Union Public Service Commission) তরফে জানানো হয়েছে, ওই দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধেই অপরাধ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই প্রকাশিত হয় ইউপিএসসির ফল। এরপরই মধ্য় প্রদেশের (Madhya Pradesh) দুই পরীক্ষার্থী দাবি করেন, তাঁরা পরীক্ষায় ১৮৪ র্যাঙ্ক করেছে। কিন্তু এক র্যাঙ্ক দুইজন কী করে করতে পারে? দেখা যায়, দুই পরীক্ষার্থীর নামই এক, শুধু পদবি আলাদা। একজন আয়েশা মাকরানি, অপরজন আয়েশা ফতিমা। তাদের দুইজনের রোল নম্বরও এক ছিল। দুই পরীক্ষার্থীই দাবি করেন, তাদের তথ্য ও ফলাফল আসল। অপরজন মিথ্যা দাবি করছে। দুই আয়েশাই থানা ও ইউপিএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন।
তবে দুই পরীক্ষার্থীর অ্য়াডমিট কার্ডে সূক্ষ ফারাক ছিল। আয়েশা মাকরানির অ্য়াডমিট কার্ডে লেখা ছিল তাঁর পার্সোনালিটি টেস্ট হয়েছিল ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল। দিনটা ছিল বৃহস্পতিবার। অন্যদিকে, আয়েশা ফতিমার অ্য়াডমিট কার্ডেও লেখা তাঁরও পার্সোনালিটি টেস্ট হয়েছিল ২৫ এপ্রিলই, তবে বার ছিল মঙ্গলবার। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবারই ছিল।
শুক্রবার ইউপিএসসি কর্তৃপক্ষের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, আয়েশা মাকরানি নামক পরীক্ষার্থী ভুয়ো দাবি করেছেন। নকল অ্য়াডমিট তৈরি করে যোগ্য প্রার্থীর বদলে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। আয়েশার মতোই বিহার থেকেও তুষার নামক এক যুবক ধরা পড়েছে। ওই যুবকও ভুয়ো নথি দেখিয়ে পরীক্ষায় র্যাঙ্ক করার দাবি করেছিল।