Unique Love Story: এক পোস্টেই শুরু প্রেম, আমেরিকা থেকে উড়ে ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামে চলে এল বিদেশিনী! তারপর যা হল…
Unique Love Story: জ্যাকলিন পেশায় এক আলোকচিত্রশিল্পী। চন্দনের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল দেখে, তার সরলতা, নম্র স্বভাব এবং ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি দেখে আকৃষ্ট হন তিনি। জ্যাকলিন তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে চন্দনের সঙ্গে তার প্রথম কথোপকথন।

সীমা হায়দারকে মনে আছে? প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে সোজা এসে উপস্থিত হয়েছিলেন ভারতে। দীর্ঘ টানাপোড়েন, পুলিশ-আদালত করে শেষে পেয়েছেন স্বস্তির জীবন। এখন তিনি ভারতের বাসিন্দা। কিছুদি আগেই সীমা আর সচিন মীনা জন্ম দিয়েছেন একটি ফুটফুটে কন্যার। এবার সেই রকম আরও এক ঘটনা সামনে এসেছে।
পাকিস্তানি নয়, ভারতের যুবকের প্রেমে পড়েছেন ট্রাম্পের দেশে মহিলা। জ্যাকলিন ফোরেরা এবং চন্দন। ইনস্টাগ্রামে পরিচয় একে অপরের। অন্ধ্র প্রদেশের এক ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা চন্দন। তাঁকেই ভালোবেসে অ্যামেরিকার বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামে থাকরেও প্রস্তুত জ্যাকলিন।
জ্যাকলিন পেশায় এক আলোকচিত্রশিল্পী। চন্দনের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল দেখে, তার সরলতা, নম্র স্বভাব এবং ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি দেখে আকৃষ্ট হন তিনি। জ্যাকলিন তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে চন্দনের সঙ্গে তার প্রথম কথোপকথন সম্পর্কে বলেন, “আমি প্রথমে চন্দনকে মেসেজ করেছিলাম। ওঁর প্রোফাইল দেখার পর, আমার মনে হয়েছিল ওঁর ধর্মে আগ্রহ রয়েছে।” জ্যাকলিন জানান, সেদিনের একটা ম্যাসেজ ধীরে ধীরে সারাদিনের কথোপকথনে পরিণত হয়। সময়ের সঙ্গে ১৪ মাসের মধ্যে ভালোবাসা এতটাই গভীর হয়ে ওঠে যে এখন তাঁরা এঁকে অপরকে ছাড়া থাকার কথা ভাবতেও পারেন না।
জ্যাকলিন এবং চন্দনের মধ্যে ৯ বছরের পার্থক্য রয়েছে। যদিও তা তাঁদের সম্পর্কের উপর কোনও প্রভাব ফেলেনি। জ্যাকলিন জানান, চন্দনের সঙ্গে বয়সের ব্যবধান নিয়ে সমাজমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার স্বীকার হয়েছেন তাঁরা। নেতিবাচক থেকে ইতিবাচক পেয়েছেন সবই।
View this post on Instagram
জ্যাকলিন জানান, তাঁর মা সম্পর্ক মেনে নেওয়ার পরই জ্যাকলিন এবং তাঁর মা, চন্দনের সঙ্গে দেখা করতে ভারতে আসেন। জ্যাকলিন বলেন, “আট মাস অনলাইন ডেটিং করার পর এবং আমার মায়ের পূর্ণ সম্মতিতে আমরা ভারতে আসি। এটা জীবনের একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা।”
বর্তমানে যুগল ব্যস্ত ভারতে নিজেদের বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে। জ্যাকলিন এবং চন্দন একটি ইউটিউব চ্যানেলও শুরু করেছেন। সেখানে তাঁরা তাঁদের প্রেমের গল্প এবং একে অপরের সঙ্গে কাটানো বিশেষ মুহূর্তগুলির ভিডিয়ো শেয়ার করেন। জ্যাকলিন বলেন, “আমাদের প্রেমের গল্প নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে, কিন্তু ঈশ্বর প্রতিটি পদক্ষেপে আমাদের জন্য পথ প্রশস্ত করেছেন।”
বিয়ের পরে আমেরিকাতে গিয়েই ঘর বাধবেন চন্দন এবং জ্যাকলিন। ইতিমধ্যেই দম্পতি চন্দনের ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। যাতে তাঁরা আমেরিকায় তাঁদের নতুন জীবন শুরু করতে পারে। জ্যাকলিন তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, “এটি আমাদের জন্য একটি নতুন অধ্যায় এবং আমরা এই যাত্রা নিয়ে খুবই উত্তেজিত।”
