লখনউ: এক তিন বছরের শিশু, সে-ই নাকি চিবিয়ে মেরে ফেলেছে একটি সাপকে! চমকপ্রদ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের ফারুখাবাদ জেলায়। জেলার মহম্মদবাদ এলাকার মদনপুর গ্রামে শিশুটির পাশে মরা সাপটিকে পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন তার বাবা-মা। মৃত সাপটিকে একটি পলিব্যাগে ভরে, শিশুটিকে নিয়ে তাঁরা অবিলম্বে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। শিশুটিকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার পর, রবিবার চিকিৎসকরা তাকে আশঙ্কামুক্ত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় চমকে গিয়েছে এলাকার মানুষ। রবিবার সে বাড়ি ফেরার পর, তাকে দেখতে বিপুল পরিমাণ মানুষ ভিড় জনিয়েছিল তাদের বাড়িতে।
জানা গিয়েছে, ওই ৩ বছরের শিশুটির নাম আয়ুষ। মদনপুর গ্রামের জনৈক দীনেশ কুমারের ছেলে সে। ঘটনার সময় বাড়ির উঠানে খেলছিল সে। হঠাৎ কোথা থেকে সাপটি সেখানে এসেছিল, তা কেউ জানে না। খেলতে খেলতে আচমকা সে চিৎকার করতে শুরু করেছিল। তার চিৎকারে ছুটে এসেছিল আয়ুষের ঠাকুমা। তিনি সেখানে এসে বাকরুদ্ধ হয়ে যান। তিনি দেখেছিলেন, ছোট্ট আয়ুষের মুখে সাপটি আটকে আছে। আয়ুষের ঠাকুমা সুনিতা বলেছেন, “আমি তো দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। প্রথমেই সাপটিকে আয়ুশের মুখ থেকে টেনে বের করে, ওর মুখটা ভাল করে ধুয়ে দিয়েছিলাম। তারপর, ওর বাবা-মাকে খবর দিয়েছিলাম। ওরা দ্রুত বাড়ি ফিরে এসে আয়ুশকে ডা. রাম মনোহর লোহিয়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন।”
সুনিতা আরও জানিয়েছেন, আয়ুষের বাবা-মা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে মৃত সাপটিকেও নিয়ে গিয়েছিলেন। সাপটিকে সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ায় ঘটনাটি ডাক্তারদের বোঝানো সহজ হয়েছিল। আয়ুশকে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন জেলা হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত ডাক্তার, ড. মহম্মদ সেলিম আনসারি। তিনি জানিয়েছেন, আয়ুষকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। সে এখন ভালই আছে এবং তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। ওই ডাক্তার আরও জানিয়েছেন, আয়ুষের শরীরে কোনও রকম বিষক্রিয়ার লক্ষণ ছিল না। তিনি বলেছেন, “মনে হয় সাপটি বিষাক্ত প্রজাতির ছিল না। তাই শিশুটির কোনও ক্ষতি হয়নি।”