Anil Dujana Killed: এনকাউন্টার আরও এক, যোগীর মাফিয়া তালিকা থেকে নাম কাটা গেল গ্যাংস্টার অনিলের

Anil Dujana Killed: গত মাসেই ৬৫ জন কুখ্যাত মাফিয়ার নামের তালিকা প্রকাশ করেছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বৃহস্পতিবার (৪ মে), মীরাটে উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হল গ্যাংস্টার অনিল দুজানা ওরফে অনিল নাগরের। ফলে সেই তালিকা থেকে নাম কাটা গেল আরও এক জনের।

Anil Dujana Killed: এনকাউন্টার আরও এক, যোগীর মাফিয়া তালিকা থেকে নাম কাটা গেল গ্যাংস্টার অনিলের
এক সপ্তাহ আগেই জামিনে মুক্তি পেয়েছিল অনিল দুজানা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 04, 2023 | 6:41 PM

লখনউ: গত মাসেই ৬৫ জন কুখ্যাত মাফিয়ার নামের তালিকা প্রকাশ করেছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বৃহস্পতিবার (৪ মে) সেই তালিকা থেকে নাম কাটা গেল আরও এক জনের। এদিন মীরাটে উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে গ্যাংস্টার অনিল দুজানা ওরফে অনিল নাগরের। তার বিরুদ্ধে ৬২টি মামলা ছিল। এক সপ্তাহ আগেই জামিনে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল গৌতম বুদ্ধ নগর জেলার দুজানা গ্রামের এই গ্যাংস্টার। জেল থেকে বেরিয়েই সে ফের অপরাধ শুরু করেছিল। তার বিরুদ্ধে যে ব্যক্তিরা সাক্ষী দিচ্ছিলেন, তাদেরকে সে হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। তারপর থেকেই তাকে খুঁজছিল উত্তর প্রদেশ পুলিশের এসটিএফ বাহিনী। এদিন এক গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মীরাটের এক বাড়িতে তাকে ঘিরে ফেলেছিল এসটিএফ। পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। পুলিশের প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে সে গুলি ছুড়তে শুরু করে। পুলিশের পাল্টা গুলিতে তার মৃত্যু হয়।

নয়ডা, গাজিয়াবাদ এবং দিল্লি রাজধানী এলাকার ত্রাস ছিল অনিল দুজানা। এক হত্যা মামলায় কারাবন্দি ছিল সে। এক সপ্তাহ আগেই তাকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। তারপরই, ওই মামলার প্রধান সাক্ষীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল সে। এমনই দাবি উত্তর প্রদেশ পুলিশের। ওই ব্যক্তিকে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছিল অনিল। তারপরই তাকে ফের গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুলিশ।

দিন কয়েক আগেই, উত্তর প্রদেশে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয়েছিল গ্যাংস্টার-রাজনীতিক আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফ আহমেদের। উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এই দুই গ্যাংস্টারকে ১৫ এপ্রিল মেডিক্যআল চেক-আপের জন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সাংবাদিকের বেশে তিন দুষ্কৃতী তাদের পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করে। তার দুদিন আগেই, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল আতিকের ছেলে আসাদের। উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের তালিকায় নাম ছিল তারও। হত্যা, অপহরণ, তোলাবাজি-সহ, আতিকের বিরুদ্ধে ৯০টি ফৌজদারি মামলা ছিল।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বারবার বলেছেন, রাজ্যকে তিনি দাগী অপরাধী এবং গ্যাংস্টার মুক্ত করতে চান। গত মাসে উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছিল, যোগী আদিত্যনাথের শাসনের ছয় বছরে মোট ১৮৩ জন অপরাধী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। একই সময়ে ১৩ জন পুলিশ কর্মীরও মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জনের মৃত্যু হয় কানপুরে গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের বিরুদ্ধে অভিযানের সময়। তবে, পুলিশি সংঘর্ষে একের পর এক অপরাধী এবং গ্যাংস্টারদের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ এবং যোগী প্রশাসন। বিশেষ করে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক এবং আশরাফ আহমেদের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। ২৮ এপ্রিল আতিক-হত্যা এবং আসাদ-সহ উমেশ পাল হত্যা মামলার অন্য আসামিদের পুলিশি সংঘর্ষে হত্যার তদন্ত সম্পর্কে উত্তরপ্রদেশ সরকারের হলফনামা তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট।