প্রয়াগরাজ: চরমে উঠেছিল পরিবারিক অশান্তি। জানতে পেরেছিলেন স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এই কথা জানতে পারার পরই স্থির করেছিলেন সংসার ভেঙে দেওয়ার। আর সেই কারণেই মনস্থির করছিলেন আত্মহত্যা (Suicide) করার। কিন্তু বাড়িতে তো ঠাকুমা রয়েছে, তাঁকে দেখবে কে? নিজে আত্মহত্যা করার আগে তাই ঠাকুমাকেও বিষ খাইয়ে দিলেন ৪০ বছরের যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh)। মঙ্গলবারই পুলিশ (Police) ওই ব্যক্তি ও তাঁর ৮০ বছরের বৃদ্ধা ঠাকুমার দেহ উদ্ধার করা হয়।
ফুলপুর শহরের কাছেই অবস্থিত ঢোকরি গ্রামে থাকতেন বছর ৮০-র ললিতা দেবী। তাঁর নাতি অরবিন্দ মৌর্য্যও একসঙ্গেই থাকত।সম্প্রতিই ওই যুবক জানতে পেরেছিল যে, তাঁর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক অশান্তিও শুরু হয়। স্ত্রীর সঙ্গে সংসার ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করে অরবিন্দ। কিন্তু এরপরের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হওয়াতেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ওই ব্যক্তি। তবে বাড়িতে বয়স্ক ঠাকুমা থাকায়, তাঁর দেখভাল নিয়েও চিন্তিত ছিলেন। সেই কারণেই ঠাকুমাকেও মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই বৃদ্ধার দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে, বৃদ্ধা ঠাকুমাকেই প্রথমে খাবারে বিষ মিশিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। ঠাকুমার মৃত্যুর পর নিজেও বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে নেন। মৃত্যুর আগে তিনি নয় পাতার একটি সুইসাইড লেটারও লিখে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ওই চিঠিতে তিনি স্ত্রী সহ সাতজনের নাম উল্লেখ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর জন্য ওনাদেরই দায়ী করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই দুটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: MP Teen Suicide: হাড় ভাঙা খেটেই জোগাড় করছিলেন ফোন রিচার্জের টাকা, তার আগেই ছেলে এমন পদক্ষেপ করল…