Murder Case: পাড়ার যুবকের সঙ্গেই রয়েছে স্ত্রীর গোপন সম্পর্ক, সেই-ই আবার পুড়িয়ে দিয়েছে মেয়ের পা, বদলা নিতে ভয়ঙ্কর কাজ করল ব্যক্তি

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jan 22, 2023 | 8:49 AM

Uttar Pradesh: চলতি সপ্তাহেও একদিন যখন মীলাল বাড়ি ছিলেন না, সেই সময় অক্ষয় বাড়িতে আসে। তাঁর স্ত্রী অক্ষয়ের জন্য চা বানালেও, ধাক্কা লেগে তা মীলালের মেয়ের পায়ে পড়ে যায় এবং তাঁর পা পুড়ে যায়।

Murder Case: পাড়ার যুবকের সঙ্গেই রয়েছে স্ত্রীর গোপন সম্পর্ক, সেই-ই আবার পুড়িয়ে দিয়েছে মেয়ের পা, বদলা নিতে ভয়ঙ্কর কাজ করল ব্যক্তি
প্রতীকী ছবি

Follow Us

লখনউ: মর্নিংওয়াকে বেরিয়ে নজর পড়েছিল পাড়ার মোড়ের বড় ডাস্টবিনের উপরে। অন্যান্য দিন যে ডাস্টবিন ফাঁকা থাকে, সেখানেই উপচে পড়ছে কালো প্লাস্টিক ও বস্তা। এক গুচ্ছ বস্তায় ভরে কী ফেলা হয়েছে, তা দেখতেই উঁকি মেরেছিলেন পথচলতি কয়েকজন। ভিতরে যা দেখলেন, তাতে শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বয়ে গেল। দেখতে পেলেন, একটি প্যাকেট থেকে বেরিয়ে রয়েছে হাতের কয়েকটি আঙুল, অপর একটি প্যাকেট থেকে উঁকি দিচ্ছে পায়ের গোড়ালি। এই দৃশ্য দেখেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে (Police)। প্রাথমিক তদন্তের পর এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযোগ, স্ত্রীর প্রেমিককে খুন করেন ওই ব্যক্তি। এরপরে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ডাস্টবিনে ফেলে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিয়াবাদে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার অক্ষয় নামক এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে মীলাল প্রজাপতি নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি স্ত্রীর প্রেমিক অক্ষয় নামক ওই যুবককে খুন করে তাঁর দেহ কমপক্ষে ১২ টুকরো করেন এবং তা ডাস্টবিনে ফেলে দেন প্রমাণ লোপাট করতে। জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছেন, অন্য কারোর সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহ মনে জেগেছিল বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। কিন্তু হাতেনাতে প্রমাণ না মেলায় কিছু বলতে পারছিলেন না। এই বিষয় নিয়ে কথা উঠতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চূড়ান্ত বচসাও হয়। এরপরই ওই ব্যক্তি ফন্দি আঁটেন কীভাবে স্ত্রীর প্রেমিককে ধরা যায়। পরিকল্পনা মাফিক স্ত্রীকে দিয়ে ফোন করান অপর যুবককে, সে বাড়ি আসতেই ছুরি দিয়ে তাঁর গলা কেটে দেন অভিযুক্ত। এরপর করাত দিয়ে দেহ টুকরো টুকরো করে তা প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ফেলে দেন ডাস্টবিনে।

জানা গিয়েছে, নিহত যুবক অক্ষয়ও একই এলাকায় থাকতেন। মীলাল যখন বাড়ি থাকতেন না, তখন তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসত সে। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কে জানতে পারেন মীলাল। চলতি সপ্তাহেও একদিন যখন মীলাল বাড়ি ছিলেন না, সেই সময় অক্ষয় বাড়িতে আসে। তাঁর স্ত্রী অক্ষয়ের জন্য চা বানালেও, ধাক্কা লেগে তা মীলালের মেয়ের পায়ে পড়ে যায় এবং তাঁর পা পুড়ে যায়।

বাড়ি ফিরে মেয়ের এই অবস্থা দেখে রাগে ফেটে পড়েন মীলাল। তিনি মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যান। পায়ের অনেকটা অংশ পুড়ে যাওয়ায় ওই শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এরপরই মীলাল অক্ষয়কে খুনের পরিকল্পনা করেন। স্ত্রীকে ফোন করে বলেন, মেয়ের সঙ্গে হাসপাতালে থাকার কারণে তিনি বাড়ি আসবেন না। অক্ষয় যেন এসে তাঁকে বাড়ির কাজে সাহায্য করে। প্রেমিকার ফোন পেয়ে অক্ষয় বাড়ি পৌঁছতেই মীলাল ছুরি দিয়ে তাঁর গলা কেটে দেন। এরপর প্রমাণ লোপাট করতে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে বস্তায় ভরেন এবং গাজিয়াবাদের একটি বড় ময়লা ফেলার জায়গায় সেগুলি ফেলে আসেন। পথচলতি কয়েকজন ওই বস্তার ভিতর থেকে দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।

Next Article