লখনউ: আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে, সেই রক্ষকই পরিণত হলেন ভক্ষকে। সুবিচারের আশায় এক ধর্ষিতা তাঁর দ্বারস্থ হতেই উর্দির জোর দেখিয়ে নিজের লালসাও মেটালেন ওই নাবালিকার উপরে। ১৩ বছরের এক ধর্ষিতা নাবালিকাকে থানার স্টেশন ইনচার্জের ফের ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তোলপাড় হয়েছে উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh)। অবশেষে দু’দিন বাদে গ্রেফতার করা গেল অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিককে। গোটা ঘটনায় ডিআইজি স্তরের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের ললিতপুরে। মঙ্গলবার নির্যাতিতার বাবা ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানান। অভিযোগে বলা হয়েছে, চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা। সেই সময়ই থানার ফাঁকা ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে ফের ধর্ষণ করেন স্টেশন ইনচার্জ। ঘটনার সময় থানায় উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার এক আত্মীয়। তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের নাম তিলকরাজ সরোজ। মঙ্গলবার অভিযোগ জানানোর পর থেকেই পলাতক ছিলেন ওই অফিসার। তবে বুধবারই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ওই অফিসার সহ ললিতপুর থানার সমস্ত পুলিশকর্মীকেই বরখাস্ত করা হয়েছে। কমিশনারের নির্দেশে শুরু হয়েছে ডিআইজি স্তরের তদন্ত। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২২ এপ্রিল চার ব্যক্তি ১৩ বছরের ওই কিশোরীকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে ভোপালে নিয়ে যায় এবং সেখানে টানা চারদিন ধরে ধর্ষণ করে। এরপর ওই কিশোরীকে নিয়ে গ্রামে ফিরে আসে তারা। থানার সামনেই নির্যাতিতাকে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
নির্যাতিত কিশোরী কোনওমতে থানার ভিতরে গিয়ে অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করলে, স্টেশন ইনচার্জ তিলকরাজ সরোজ তাকে পরেরদিন আসতে বলেন এবং এক আত্মীয়ার সঙ্গে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। পরেরদিন নির্যাতিতা অভিযোগ জানাতে গেলে, তাকে থানার ভিতরে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন পুলিশ আধিকারিক, এমনই অভিযোগ।
অভিযুক্ত ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কাজ থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে।