লখনউ: নাবালিকার পোশাক খুলিয়ে তার গোপনাঙ্গ পরীক্ষা করার অভিযোগে গ্রেফতার স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এক ভয়ঙ্কর এবং লজ্জাজনক ঘটনার খবর এল উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা থেকে। নির্যাতিতা মেয়েটির বয়স ১০। ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সে। প্রধান শিক্ষকের নির্যাতনের পর, আতঙ্কে ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে, অযোধ্যার রুদৌলি মহকুমা এলাকায় অবস্থিত এক স্কুলে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর, এই বিষয়ে ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়েছে। বাবা বাজার থানায় এই ঘটনার বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছিল সপ্তাহ দুয়েক আগে, ১৬ সেপ্টেম্বর। দিনটা ছিল শনিবার। তাড়াতাড়ি ছুটি হয়েছিল স্কুলে। নাবালিকা ছাত্রীটি স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার সময়, প্রধান শিক্ষক রিজওয়ান আহমেদ তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। শিক্ষার্থী-শিক্ষক-সহ সবাই স্কুল থেকে চলে গিয়েছিল। তারপর, প্রধান শিক্ষক ছাত্রীটিকে জোর করে একটি শ্রেণিকক্ষের ভিতরে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক এরপর জোর করে মেয়েটির সব পোশাক খুলে নিয়েছিলেন এবং তার গোপনাঙ্গ স্পর্শ করেছিলেন। এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনার কথা মেয়েটি যাতে কাউকে না বলে, তার জন্য তাকে ভয়ও দেখান ওই শিক্ষক।
#अयोध्या : थाना बाबा बाजार के एक प्राथमिक विद्यालय की घटना का वीडिओ आया सामने, शिक्षक ने शिक्षा जगत को किया शर्मशार, नाबालिक छात्रा के कपड़े उतार कर प्राइवेट पार्ट को किया था चेक, चेक करते वक़्त शिक्षक ने छात्रा संग की गंदी हरकत, पिता की शिकायत पर पुलिस ने शिक्षक को गिरफ्तार कर… pic.twitter.com/qyZXQszjn5
— Nedrick News (@nedricknews) September 30, 2023
এই ঘটনার অভিঘাতে প্রচণ্ড আতঙ্ক গ্রাস করেছিল মেয়েটিকে। ভয়ের চোটে সে ঘটনাটি কাউকে জানায়নি। এমনকি, বাবা-মায়ের কাছেও মুখ খোলেনি। ঘটনার পর থেকে সে স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিল। প্রথমে তার বাবা-মা ভেবেছিলেন, সে হয়তো অসুস্থ। তাই স্কুলে যেতে চাইছে না। তবে, এভাবে বেশ কয়েকদিন যাওয়ার পর বাবা-মা তাকে স্কুলে যাওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিল। বাধ্য হয়ে বাবা-মায়ের কাছে মেয়েটি পুরো ঘটনা খুলে বলেছিল। পুরোটা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল তাঁদের। ওইদিনই মেয়েটির বাবা তাকে নিয়ে বাবা বাজার থানায় গিয়েছিলেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ পাওয়ার পরই এই বিষয়ে তৎপর হয় পুলিশ। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রিজওয়ান আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রধান শিক্ষককে হেফাজতে নিয়েছে তারা। প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, থানার ভিতরে দাঁড়িয়ে আছেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। নেটিজেনদের অনেকেই বলেছেন, এই ঘটনা গোট শিক্ষা জগতকে লজ্জার মুখে ফেলে দিয়েছে।