Uttarakhand CM: সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে মুখ খুললেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Nov 21, 2023 | 7:22 AM

Tunnel Disaster: ৯ দিন পর, সোমবার বিকালে ৬ ইঞ্চি ডায়ামিটারের একটি পাইপ সুড়ঙ্গের ভিতর ঢোকানো সম্ভব হয়। তারপর রাতেই ওই পাইপের মধ্য দিয়ে বোতলে গরম খিচুড়ি ভরে শ্রমিকদের পাঠানো হয়। গোটা বিষয়টির উপর নজদরদারি রেখেছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। তিনি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিকে ফোন করে উদ্ধারকাজের বিষয়ে খোঁজও নিয়েছেন।

Uttarakhand CM: সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে মুখ খুললেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী
টানেলে উদ্ধারকাজ প্রসঙ্গে জানালেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।

Follow Us

দেরাদুন: নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে (Tunnel) ধস নেমে ৪১ জন শ্রমিকের সুড়ঙ্গে আটকে থাকার খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (Uttarakhand CM) পুষ্কর সিং ধামি। প্রতিনিয়ত উদ্ধারকাজের উপর নজরদারি রাখছেন। পাইপের মাধ্যমে বোতলে ভরে খিচুড়ি সুড়ঙ্গে পাঠানোর পর যেন তিনিও কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধার করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে বলে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ধামি।

টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি লেখেন, “উত্তরকাশীর নির্মীয়মাণ সিলকিয়ারা সুড়ঙ্গের ভিতর আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ চলছে, ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে ৬ ইঞ্চি ডায়ামিটারের পাইপলাইন সুড়ঙ্গের ভিতরে পাঠানো হয়েছে। এখন তার মধ্য দিয়ে খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রী সহজেই কর্মীদের কাছে পাঠানো যাবে।” কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও রাজ্য প্রশাসনের উদ্ধারকারী দল অক্লান্তভাবে এই উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা সকল শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধার করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালাচ্ছি।”

প্রসঙ্গত, গত ১২ নভেম্বর দীপাবলির দিনই অন্ধকার নেমে এসেছিল সিলকিয়ারা সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজে জড়িত ৪১ শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের জীবনে। হঠাৎ করে সুড়ঙ্গে ধস নামায় ভিতরেই আটকে পড়েন ওই শ্রমিকেরা। তারপর ১০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও আলো দেখতে পাননি তাঁরা। অন্ধকার সুড়ঙ্গের মধ্যেই কোনক্রমে শ্বাস নিচ্ছেন। যদিও দুর্ঘটনার পর থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। কিন্তু, বারবার মাটি ধসে পড়ায় এবং সুড়ঙ্গের মুখ ধ্বংসস্তূপে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। কোনক্রমে সরু পাইপের মাধ্যমে ওয়াকি-টকি, জল ও তরল খাবার সুড়ঙ্গে পাঠানো হচ্ছিল। তবে ৯ দিন পর, সোমবার বিকালে ৬ ইঞ্চি ডায়ামিটারের একটি পাইপ সুড়ঙ্গের ভিতর ঢোকানো সম্ভব হয়। তারপর রাতেই ওই পাইপের মধ্য দিয়ে বোতলে গরম খিচুড়ি ভরে শ্রমিকদের পাঠানো হয়। গোটা বিষয়টির উপর নজদরদারি রেখেছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। তিনি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিকে ফোন করে উদ্ধারকাজের বিষয়ে খোঁজও নিয়েছেন।

Next Article