Varanasi: ৫ বছরের নাবালিকার মৃতদেহের পাশে ঘুমন্ত যুবক, কবর খুঁড়ে যৌনতা?
Varanasi: পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে এবং তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে। ওই ব্যক্তি কবর খুঁড়ে শুধুই মেয়েটির দেহ তুলে এনেছিল, নাকি তার দেহকে যৌন নির্যাতনও করেছিল, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

বারাণসী: গত বুধবারই মারা গিয়েছিল নাবালিকা মেয়েটি। বুকে পাথর চাপা দিয়ে মেয়েকে কবর দিয়েছিলেন বাবা। একদিন পরই, মেয়ের কবরস্থানে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। কবরখানায় গিয়ে দেখেছিলেন কবর রয়েছে, কিন্তু মেয়ের দেহ নেই। পরে খুঁজতে খুঁজতে দেখেছিলেন, তাঁর মেয়ের দেহ কবর থেকে তুলে তার পাশে ঘুমিয়ে আছে এক মদ্যপ যুবক। পরে পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে এবং তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে। ওই ব্যক্তি কবর খুঁড়ে শুধুই মেয়েটির দেহ তুলে এনেছিল, নাকি তার দেহকে যৌন নির্যাতনও করেছিল, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়ে, বারাণসী শহরের দশাশ্বমেধ এলাকায় থাকত ৫ বছরের মেয়েটি। গত কয়েকদিন ধরেই সে অসুস্থ ছিল। বুধবার তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর, তার বাবা বারাণসীর রেওয়ারি তালাব এলাকার এক কবরস্থানে মেয়ের দেহ দাফন করেছিলেন। কন্যাশোকের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে, একদিন পরই তিনি আবার সেই কবরস্থানে ফিরে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেছিলেন, একদিন আগেই যে সমাধি তিনি নিজে হাতে সাজিয়ে এসেছিলেন, সেটি এলোমেলো হয়ে আছে। সন্দেহ হওয়ায়, তিনি মেয়ের কবর ফের খনন করার সিদ্ধান্ত নেন। কবরটি খুঁড়ে দেখা যায়, সেখানে নাবালিকার দেহ নেই।
এরপর ওই কবরখানার ভিতরেই এক জায়গায় মহম্মদ রফিক নামে এক ৩০ বছরের যুবককে মদ্যপ অবস্থায় ওই নাবালিকার মৃতদেহের পাশে ঘুমোতে দেখা যায়। নাবালিকার বাবা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে রফিককে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। বারাণসী পুলিশের ডেপুটি কমিশনার, আরএস গৌতম জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৭ ধারা অর্থাৎ, কবরস্থানে বেআইনি অনুপ্রবেশের দায়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এক মহিলা ডাক্তার-সহ তিন চিকিৎসকের একটি প্যানেলকে দিয়ে দেহটির ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে, মেয়েটির দেহের যৌন নির্যাতন করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ডাক্তাররা। তাঁরা অভিযুক্তের ডিএনএ প্রোফাইলিং পরীক্ষার সুপারিশ করেছেন। এই পরীক্ষার জন্য অভিযুক্তর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। এর জন্য শিগগিরই আদালতে আবেদন করবে পুলিশ।