
এ বছরের শেষেই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে মোদী-শাহের রাজ্যে। আগামী ডিসেম্বরেই ১৮২ টি আসন সমন্বিত গুজরাট বিধানসভার নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হতে পারে। গুজরাট নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এখন থেকেই প্রায় কোমড় বেঁধে নেমে পড়েছে প্রচারে।

গুজরাটে বর্তমানে বিজেপির প্রতিপত্তিই বেশি। গত ২০১৭ সালে নির্বাচনে জিতে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিজয় রুপানি। তবে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ইস্তফা দেন রুপানি। তারপর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল। গুজরাট বিধানসভায় এখন বিজেপির আসন সংখ্যা ১৮২ টির মধ্যে ১১২ টি।

এই বছর তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে আশাজনক ফল করেছে বিজেপি। তিন রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করার পরে গুজরাট সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজনও করা হয়। সেদিন থেকেই একপ্রকার গুজরাট নির্বাচনের জন্য রণডঙ্কার বেজে ওঠে। রোড শো করে বিজেপির ক্ষমতা প্রদর্শন করেন বিজেপি নেতারা।

ইতিমধ্যেই একের পর এক নেতারা লাগাতার গুজরাট সফরে গিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম হল অরবিন্দ কেজরীবালের আপ। পঞ্জাবে ক্ষমতায় আসার পর অরবিন্দ কেজরীবাল একাধিক রাজ্যে ক্ষমতা দখলের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। গুজরাটে গিয়ে একাধিক প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন এর মধ্যেই। সেখানকার শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা তুলে ধরে বিজেপিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন কেজরীবাল। গত বেশ কয়েকটি নির্বাচনেই

এদিকে নির্বাচনের আগেই গুজরাট কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। পাটিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এদিকে সোমবারই গুজরাট সফরে যান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেখানে গিয়ে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা, ১০ লক্ষ নতুন চাকরি ৩ হাজার নতুন ইংরেজি মাধ্যম সহ একাধিক প্রতিশ্রুতি দেন কংগ্রেস নেতা।