চেন্নাই: শিশুদের পড়াচ্ছিলেন শিক্ষক। সেই সময়ই আচমকাই শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়লেন ক্লাস টুয়ের এক শিশুর বাবা-মা। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিক্ষকের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়লেন তাঁরা। তারপর, আতঙ্কিত শিশুদের সামনেই শিক্ষককে তাড়া করলেন বাবা। তারপর শুরু হল মাটিতে ফেলে বেধড়ক মার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োয় ধরা পড়ল বিস্ময়কর দৃশ্য। সূত্রের খবর, ঘটনাটি তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন জেলার এক সরকারি মদতপ্রাপ্ত স্কুলের। নির্যাতিত শিক্ষকের নাম আর ভরত। তাঁর বিরুদ্ধে এক দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। তবে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই শিক্ষক। বরং, তাঁকে মারধর করার অভিযোগে দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রের বাবা-মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিন মিনিটের ভিডিয়ো ক্লিপে দেখা গিয়েছে ওই দম্পতি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে নির্যাতিত শিক্ষকের সঙ্গে তর্ক করছেন। সূত্রের খবর অভিযুক্ত দম্পতির নাম শিবলিঙ্গম ও সেলভি। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, শিশুকে মারধর করা বেআইনি বলে আর ভরতের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছেন সেলভি। তিনি বলেন, “বাচ্চাদের মারধর করা বেআইনি। কে আপনাকে এই অধিকার দিয়েছে? আমি আপনাকে পায়ে জুতো খুলে মারব।” চিৎকার চেঁচামেচিতে ভয় পেয়ে যায় শিশুরা। তাদের সামনেই শিবলিঙ্গম ওই শিক্ষককে তাড়া করেন। স্কুল চত্বরে কিছুক্ষণ এই ‘চোর-পুলিশ খেলা’ চলে এবং পরে তাঁকে মারধর করা হয়। এমনকি শিক্ষকের দিকে শিবলিঙ্গমকে একটি ছোট ইট বা পাথর ছুড়তেও দেখা যায়। ওই দম্পতি যখন ভরতের উপর হামলা চালায়, সেই সময় এক শিক্ষিকাকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শোনা যায়।
தூத்துக்குடி மாவட்டத்தில் இன்று ஆசிரியருக்கு பெற்றோரிடம் கிடைத்த பரிசு!
தமிழகம் உருப்பட வாய்ப்பேயில்லை! pic.twitter.com/PpUAwdAh3T
— வணங்காமுடி ®️ (@Itz_Katti) March 21, 2023
পরে ওই শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই দম্পতি এবং দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রের দাদা মুনুসামি-কে গ্রেফতার করেছে। শিশুটি বাড়ি ফিরে তার দাদার কাছেই শিক্ষকের নামে অভিযোগ করেছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট এল বালাজি সর্বানন বলেছেন, “আমরা তাদের বিরুদ্ধে হামলা, অপরাধমূলক উদ্দেশ্যে ভয় দেখানো, ষড়যন্ত্র এবং একজন সরকারি কর্মচারীকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছি।” পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিশুটি ক্লাসে মন দিচ্ছিল না এবং অন্য শিশুদের সঙ্গে মারামারি করেছিল। তাই ভরত তাকে অন্য আসনে গিয়ে বসার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আসন পরিবর্তন করার সময়ে দুর্ঘটনাক্রমে শিশুটি পড়ে যায়।