
মুম্বই: ২২ দিন হাজতবাস করতে হয়েছিল, কিন্তু প্রমাণ মেলেনি কিছুই। মাদক মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান(Aryan Khan)। এনসিবির তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এ বার সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনের তরফেও যে তদন্ত শুরু হয়েছে, তাতে দাবি করা হল যে মুম্বই মাদক মামলায় তোলাবাজির কোনও প্রমাণ মেলেনি। আরিয়ান খানকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য শাহরুখ খানের ম্যানেজারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়েছিল বলে তথ্য সামনে এসেছিল, তার সপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি।
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে মুম্বইয়ের কর্ডেলিয়া নামক একটি প্রমোদতরী থেকেই আটক করা হয়েছিল শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান সহ ২০ জনকে আটক করা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল, আরিয়ান খানের কাছে মাদক ছিল। দীর্ঘক্ষণ ধরে টানা জেরা করার পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ২২ দিন হাজতবাস করেন তিনি। পরে জামিন পান আরিয়ান। এদিকে, মাদক মামলার তদন্ত চলাকালীনই অন্য এক দাবিও সামনে এসেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, এনসিবির তদন্তকারী অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে ঘুষ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এনসিবির সাক্ষী প্রভাকর সেইলের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এনসিপি নেতা নবাব মালিকও দাবি করেছিলেন যে, আরিয়ান খানকে জেল থেকে মুক্তি দিতে এনসিবি আধিকারিকরা মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছিলেন।
বুধবার এনসিবি সূত্রে জানা যায় যে, তদন্তকারী দল কর্ডেলিয়া ক্রুজ মাদক মামলায় তোলাবাজি বা ঘুষ নেওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি। এনসিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরই সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল তদন্তের নির্দেশ দেন এবং একটি নজরদারি কমিটিও গঠন করেন। এনসিবির ডিডিজি দ্যানেশ্বর সিংয়ের নেতৃত্বে তদন্তকারী দল ৬০ জনকে জেরা করে তোলাবাজি সংক্রান্ত মামলায়। দীর্ঘ সময় ধরে সমীর ওয়াংখেড়ে সহ ১২ জন এনসিবি কর্তাদেরও জেরা করা হয়। কিন্তু কাউকে জেরা করেই বিশেষ কোনও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, এনসিবি এখনও ডিজির কাছে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেয়নি। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।