Meghalaya: একে-৪৭ নিয়ে মেঘালয়ের গ্রামে হানা ২ বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষীর, তাড়া করলেন গ্রামবাসীরা; ভিডিও ভাইরাল

Meghalaya: ঘটনার পর বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে বিজিবি-র কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়। বিজিবি-র দাবি ওই কর্মীরা অজ্ঞাতসারে ঢুকে পড়েছিলেন ভারতীয় গ্রামে।

Meghalaya: একে-৪৭ নিয়ে মেঘালয়ের গ্রামে হানা ২ বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষীর, তাড়া করলেন গ্রামবাসীরা; ভিডিও ভাইরাল
গ্রামবাসীরা তাড়িয়ে দেন দুই বিজিবি সদস্যদের

| Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jun 09, 2023 | 7:38 AM

গুয়াহাটি: পরনে বিজিবি অর্থাৎ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের উর্দি পরা। হাতে একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল এবং লাঠি। এই অবস্থায় গত বুধবার (৭ জুন) মেঘালয়ের দক্ষিণ গারো হিলস জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী এক গ্রামে প্রবেশ করেছিল দুই ব্যক্তি। এমনই দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা। বুধবার বিকেল ৪টে নাগাদ বাংলাদেশের ওই দুই সেনা কর্মী দক্ষিণ গারো পাহাড়ের রোঙ্গারা এলাকায় প্রবেশ করেছিলেন বলে অভিযোগ। এর পর গ্রামবাসীরা বিষয়টি ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী অর্থাৎ বিএসএফ-কে জানায়। বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কাছে সরকারিভাবে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তবে, বাংলাদেশের ওই দুই জওয়ান ভুলবশতই ভারতে ঢুকে পড়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

সশস্ত্র অবস্থায় বিজিবির উর্দিধারী ওই দুই জওয়ানকে তাঁদের গ্রামে প্রবেশ করতে দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে সজ্জিত ওই দুই জওয়ানকে তাড়া করেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায় বিজিবির ওই দুই কর্মী। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মেঘালয়ের ওই গ্রামে ঢুকে পরবল প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন বিজিবির ওই কর্মীরা। গ্রামবাসীরা তাঁদের জিজ্ঞাসা করেন, তারা কী উদ্দেশ্যে সেখানে এসেছেন। সঙ্গত জবাব না দিতে পারায়, গ্রামের সাধারণ মানুষ এমনকি মহিলারা পর্যন্ত তাঁদের গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেন। বিজিবির ওই কর্মীদের শেষ পর্যন্ত গ্রাম থেকে বেরিয়ে একটি মাঠের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যেতে দেখা গিয়েছে।


বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, বিজিবির কাছে এই ঘটনার বিষয়ে সরকারি প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তার জবাবে বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় কয়েকজন চোরাচালানকারীদের পিছু নিয়েছিলেন তাদের ওই দুই কর্মী। ওই অপরাধীদের ধাওয়া করে ‘অজ্ঞাতসারেই’ তাঁরা ওই ভারতীয় গ্রামে প্রবেশ করেছিলেন। বিএসএফ-এর এক কর্তা বলেছেন, “বিজিবি আমাদের জানিয়েছে, ওই গ্রামটি যেহেতু সীমান্তের একেবারে কাছে অবস্থিত, ওই বিজিবি সদস্যরা স্পষ্টতই বুঝতে পারেনি যে অপরাধীদের তাড়া করতে করতে তাঁরা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছে। তাদের সীমান্ত লঙ্ঘনের বিষয়ে আমাদের মধ্যে একটি ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে। এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। কিন্তু তারা কোনও ভারতীয় নাগরিককে হেনস্থা করেনি।”