
সিংভূম: উত্তরকাশীর সিল্কয়ারা টানেলে ১৭ দিন ধরে আটকে ছিলেন ৪১ জন কর্মী। ১৭ দিন পর মঙ্গলবার তাঁদের সেখান থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেখানে আটকে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে ১৫ জন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। এর মধ্যে ছিলেন ২৯ বছরের ভাক্তু মুর্মু। তিনি আটকে থাকায় উৎকণ্ঠা বাড়ছিল তাঁর বাবার। ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার বাহদা গ্রামের বাসিন্দা ভাক্তুর বাবা বাসেত মুর্মুর দিন কাটছিল চরম উৎকণ্ঠায়। ছেলের কথা ভাবতে ভাবতে টানেলে আটকে পড়ার ১৬তম দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্য হয়েছে বাসেতের। এর পর দিন তাঁর ছেলে অর্থাৎ ভাক্তুকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। ছেলে উদ্ধার হলেও উৎকণ্ঠায় প্রাণ চলে গেলে বাবার।
এই ঘটনা নিয়ে বাসেতের জামাই থাকার হাঁসদা বলেছেন, “ভাক্তুর অবস্থা নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন তিনি। ১২ নভেম্বর টানেলে আটকে পড়ার পর থেকেই খুবই চিন্তিত ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করেই খাট থেকে পড়ে যান উনি। হৃদরোগের আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। আমি অন্য আত্মীয়দের খবর দিয়েছি। এই ঘটনায় আমাদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমেছে।”
বাসেতের বড় ছেলে রামাই মুর্মু চেন্নাইয়ে কাজ করেন। তাঁর ছোট ছেলে গ্রামের কাছেই দিন মজুরির কাজ করেন। ভাক্তু ছিলেন বাসেতের মেজ ছেলে। উত্তরকাশীর টানেলে আটকে থাকা ছেলের শোকেই মৃত্যু হয়েছে বাসেতের।