বিজয়পুরা: উত্তরকাশীর নির্মীয়মাণ সিলকিয়ারা সুড়ঙ্গে ধস নেমে ৪১ জন শ্রমিকের আটকে পড়ার ঘটনার আতঙ্ক এখনও কাটেনি। ১৬ দিন পর তাঁদের উদ্ধার করার সবে এক সপ্তাহ পেরিয়েছে। এর মধ্যে ফের প্রায় একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটল। এবার একটি গুদামঘরের (Warehouse) ইউনিট ধসে পড়ে গমের বস্তার নীচে আটকে পড়েন ১০ জনের বেশি শ্রমিক। এবার ঘটনাস্থল দক্ষিণ ভারতের রাজ্য, কর্নাটক (Karnataka)।
কর্নাটকের বিজয়পুরা শিল্পতালুক এলাকায় একটি গুদামে সোমবার রাতে কাজ করছিলেন প্রায় ৫০ জন শ্রমিক। সেই গুদামের একদিকে মজুত করা ছিল সারি-সারি গমের বস্তা। হঠাৎ করেই গুদামের একাংশে ধস নামে। কিছু বোঝার আগেই সেখানে কর্মরত শ্রমিকেরা গমের স্তূপের নীচে চাপা পড়ে যান। ১০ জনের বেশি শ্রমিক গমের স্তূপের নীচে চাপা পড়ে যান। পরিস্থিতি এমন হয় যে, তাঁদের উদ্ধার করতে আসে পুলিশ, দমকলবাহিনী। তারপর দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করেও শ্রমিকদের উদ্ধার করা যায়নি। অবশেষে শ্রমিকদের উদ্ধার করতে বুলডোজার নামানো হয়। মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত মাত্র ৩ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা গিয়েছে। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গুদাম ঘরের চারটি সেট ধসে পড়ে। প্রতি সেটে ১২০ টন গম ছিল। বিজয়পুরার ডেপুটি কমিশনার টি. ভুবালান জানান গুদাম ঘরের মধ্যেই শ্রমিকেরা আটকে রয়েছেন। প্রায় ১০-১২ জন শ্রমিক আটকে রয়েছেন। তার মধ্যে ৩ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের জন্য উদ্ধারকাজ চলছে। দুটি ক্রেন ও চারটি আর্থ মুভার দিয়ে উদ্ধারকাজ চলছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
VIDEO | More than 10 workers feared trapped under sacks filled with grains after a storage unit collapsed at a warehouse in Karnataka’s Vijaypura. More details awaited.
(Full video available on PTI Videos – https://t.co/n147TvqRQz) pic.twitter.com/ayAendvDwY
— Press Trust of India (@PTI_News) December 4, 2023
প্রসঙ্গত, গত ১২ নভেম্বর হঠাৎ করেই নির্মীয়মাণ সিলকিয়ারা সুড়ঙ্গে ধস নামে। সেই সময় সুড়ঙ্গের ভিতর ছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। ধ্বংসাবশেষে সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা আর বেরোতে পারেননি। টানা ১৬ দিন সুড়ঙ্গে আটকে ছিলেন তাঁরা। তাঁদের উদ্ধার করতে প্রচেষ্টার খামতি রাখেনি প্রশাসন। অনেকগুলি উদ্ধারকারী দল একসঙ্গে মিলে উদ্ধারকাজ করেন। শেষের দিকে সেনাও নামানো হয়। ব়্যাট হোল মাইনিং প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়। তারপর ভার্টিক্যাল ড্রিলিং করে সুড়ঙ্গের ভিতর পাইপ ঢুকিয়ে অবশেষে শ্রমিকদের উদ্ধার করা হয়।