Indian Army: কীভাবে পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে জঙ্গিদের দফারফা করে দিল ভারত, দেখে নিন
Indian Army: ভারতীয় সেনার হানায় ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিকেশ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অচিরেই এই সংখ্যা আরও বেশ খানিকটা বাড়তে পারে। লস্কর ও জৈশের ঘাঁটিও পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। হামলা হয়েছে মার্কাজ সুভন আল্লাহে।

নয়া দিল্লি: বৈসরণ ভ্যালিতে ২৬ পর্যটককে নির্মমভাবে মারতে মারতে জঙ্গিরা বলেছি যা দিয়ে মোদীকে বল। গর্জে উঠেছিল গোটা দেশ। অবশেষে উত্তরটা দিয়েই দিল ভারত। বুধবার মধ্যরাতে ভারতীয় সেনার নির্ভুল নিশানায় গুড়িয়ে গেল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় থাকা জঙ্গিঘাঁটি। রাত ১ টা ৪০ মিনিট থেকে ২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চলে অপারেশন সিঁদুর। তা নিয়েই এখন জোর চর্চা গোটা দেশে।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিদের ৯টি ঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। মুজাফফরাবাদ, বাহাওয়ালপুর, কোটলি, চক আমরু, গুলপুর, ভিম্বর, মুরিদকে, শিয়ালকোট-সহ একের পর এক জায়গায় বুধবার মধ্যরাতে হানা দেয় ভারতীয় সেনা।

ভারতীয় সেনার হানায় ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিকেশ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অচিরেই এই সংখ্যা আরও বেশ খানিকটা বাড়তে পারে। লস্কর ও জৈশের ঘাঁটিও পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। হামলা হয়েছে মার্কাজ সুভন আল্লাহে। এটা জইশ ই মহম্মদের হেডকোয়ার্টার। ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা অ্য়াটাকের সঙ্গে এই জঙ্গিঘাঁটি জড়িত। এই ক্যাম্পেই ট্রেনিং হয়েছিল পুলওয়ামা হামলার জড়িতদের। করাঁচি-তোরখাম হাইওয়ের ওপর অবস্থিত। ১৫ একর জমি জুড়ে।

হামলা হয়েছে শিয়ালকোটে মসকর রাহিল শহিদে। এটা হিজবুল মুজাহিদিনের জঙ্গিঘাঁটি। এই জঙ্গিঘাঁটির পাক আইএসআইর প্রত্যক্ষ মদতে তৈরি। জম্মু রিজিয়নের সব নাশকতার পরিকল্পনা হত এই ঘাঁটি থেকে। প্রচুর অস্ত্র -সহ জঙ্গিরা থাকত এই ঘাঁটিতে। হামলা হয়েছে মার্কাজ তইবাতে। লস্কর ই তইবার গুরূত্বপূর্ণ ট্রেনিং সেন্টারটি। ওসামা বিন লাদের এই ক্যাম্পের আর্থিক মদতদাতা ছিলেন। এই ক্যাম্পেই ট্রেনিং চলত লস্কর ই তৈবার জঙ্গিদের। আজমল কাসাব এই জঙ্গিঘাঁটির সঙ্গে জড়িত।

হামলা হয়েছে কোটলি জেলার মসকর রাহিল শহিদে। এটি হিজবুল মুজাহিদিনের অন্যতম গুরূত্বপূর্ণ কেন্দ্র। স্নাইপার ক্যাডারদের ট্রেনিং হত এখানে। হিজবুল মুজাহিদিনের প্রধান সায়েদ সালাহুদ্দিন এইল জঙ্গিঘাঁটির সঙ্গে জড়িত। কয়েক বছর ধরেই এই ঘাঁটিতে নতুন নির্মান দেখা গিয়েছিল।
