নয়া দিল্লি: দিল্লিবাসী যদি যাবতীয় কোভিড বিধি (COVID 19 Guidelines) মেনে চলেন, তাহলে রাজধানীতে কোনও লকডাউন করা হবে না। রবিবার দিল্লিবাসীকে এই কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Delhi CM Arvind Kejriwal)। মানুষ যাতে বাইরে বেরোলেই মাস্ক পরেন এবং শারীরিক দূরত্ববিধি যথাযথভাবে পালন করেন, এই আবেদনও জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
একসঙ্গে রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি নিয়েও বেশ উদ্বিগ্ন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, দিল্লিতে গত কয়েক ধরে নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়েছে। তবে দিল্লিবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। কেজরিওয়াল বলেন, “আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই… বরং দায়িত্বশীল হোন। আমরা এখনই দিল্লিতে লকডাউন করতে চাই না… আমরা যতটা সম্ভব সীমিতভাবে বন্ধ রাখতে চাই, যাতে সাধারণ মানুষের জীবন প্রভাবিত না হয়। আগামিকাল (সোমবার) দিল্লির বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের একটি বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকেই আমরা পরিস্থিতি আবার পর্যালোচনা করে দেখব।”
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেও এই একই কথা বলেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লিবাসীতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন, তবে সেই সঙ্গে এও বলেছিলেন যে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। রবিবার সেই কথাই ফের একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন কেজরিওয়াল। একইসঙ্গে দিল্লিবাসীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করোনার টিকা নিয়ে নেওয়ার জন্যও আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে কিছুদিন আগেই উত্তরাখণ্ডের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। করোনার সেই ধাক্কা কাটিয়ে এখন পুরোপুরি সুস্থ তিনি। রবিবার কেজরিওয়াল বলেন, “করোনা থেকে সেরে ওঠার পর আমি আবার আপনাদের সেবায় ফিরে এসেছি।” উল্লেখ্য, করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই দিন জ্বর থাকার তিনি বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে ছিলেন।
দিল্লির স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রবিবার রাজধানীতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২২ হাজারের আশেপাশে থাকতে পারে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিবাসীর উদ্দেশে কেজরিওয়ালের এই বার্তা স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে শনিবার করোনায় আক্রান্তে সংখ্যা ছিল ২০ হাজারেরও বেশি। আগের দিনের তুলনায় প্রায় ১৬ শতাংশ বেড়েছিল দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এ দিকে দিল্লিতে ২৩ এপ্রিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন শীর্ষে পৌঁছেছিল, সেই সময় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৬ হাজারের কিছু বেশি। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সেই রেকর্ড সংক্রমণের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে ওমিক্রনের সংক্রমণ।
সংক্রমণের এই নতুন ঢেউয়ে অনেকটাই ওমিক্রনের প্রভাবে হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার থেকে অনেক বেশি দ্রুত ছড়ায়, তবে সংক্রমণের তীব্রতা অনেকটাই কম। তবে গুরুতর সংক্রমণ না হলেও ডাক্তাররা এটিকে অবহেলা না করার জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, দিল্লি এখনও পর্যন্ত ৫১৩ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত। দেশের নিরীখে মহারাষ্ট্রের পরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লির ওমিক্রন সংক্রমণ।
আরও পড়ুন : Jharkhand Chief Minister: মুখ্যমন্ত্রী বাদে বাড়ির সবাই করোনা আক্রান্ত, স্বাস্থ্যমন্ত্রীও একান্তবাসে