
নয়া দিল্লি: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা দেশ। উঠছে বদলার দাবি। পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে নয়া দিল্লিও। এরইমধ্যে ইশা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদগুরু জাগ্গি বাসুদেব পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁর সাফ কথা, এটা কাপুরুষদের কাজ। এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি লিখছেন, ‘সন্ত্রাসবাদের লক্ষ্য যুদ্ধ নয় বরং সমাজকে ভয়ে পঙ্গু করে দেওয়া। তারা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে চায়।’
সদগুরু বলছেন, ওরা মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চায়। দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে আটকাতে চায়। সমাজের প্রতিটা স্তরে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। তিনি লিখছেন, ‘আমরা যদি এই দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে এবং এটাকে লালন করতে চাই, তাহলে এই ধরনের নৈরাজ্যবাদীদের কঠোর হাতে, দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।’
সদগুরু বলেছেন ধর্মের আধারে ছড়িয়ে পড়া সন্ত্রাসবাদ খুবই বিপজ্জনক। কারণ যে ব্যক্তি সম্পত্তি, অর্থের মতো অন্য কোনও কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলা (নেগোশিয়েট) তুলনামূলকভাবে সহজ। কিন্তু, যে ব্যক্তিরা তার আরাধ্য ঈশ্বরের জন্য, তাঁর বিশ্বাসের জন্য সন্ত্রাসবাদ ছড়াচ্ছে, এমনকি নিজে মরতেও প্রস্তুত, সে যুক্তিসঙ্গতভাবে চিন্তা করা বন্ধ করে দেয়। সদগুরু বলেছেন, “আমাদের পূর্বপুরুষরা বছরের পর বছর ধরে দারিদ্র্য ও ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা আমাদের দায়িত্ব।” তিনি বলেন, “এখনই সময় দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে একসঙ্গে মোকাবিলা করার। যারা নারী, শিশু এবং দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বোমা তুলে নেয় তাঁদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করা উচিত।”