রাঁচি: ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) হঠাৎ করে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক সংকটের আপাতত যবনিকা পতন হয়েছে। এর মাঝেই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) ভাই তথা দুমকা থেকে নির্বাচিত ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়ক বসন্ত সোরেন (Basant Soren)। কয়েকদিন আগেই দুই নাবালিকার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দুমকা। দিল্লি থেকে ফিরে এসে নির্যাতিতাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বসন্ত। সেই সময় তাঁকে দিল্লি সফর নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেই মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের ভাই। তিনি জানিয়েছেন, অন্তর্বাস কিনতেই দিল্লি গিয়েছিলেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের তরফে প্রকাশিত ভিডিয়ো ক্লিপে হাসিমুখে বসন্তকে বলতে শোনা যায় “আমার অন্তর্বাস শেষ হয়ে গিয়েছিল, সেই কারণে তা কিনতে আমি দিল্লি গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আমি অন্তর্বাস কিনেছি।” বসন্ত জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ডে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছিল কিন্তু এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
#WATCH | Dumka: “I had run out of undergarments, so I went to Delhi to purchase them. I get them from there,” says JMM MLA and Jharkhand CM Hemant Soren’s brother, Basant Soren when asked about his visit to Delhi amid recent political unrest in the state.
(07.09.2022) pic.twitter.com/GBiNWZaLzr
— ANI (@ANI) September 8, 2022
শাসকদলের বিধায়কের এহেন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী শিবির থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। ঝাড়খণ্ড বিজেপির অন্যতম পরিচিত মুখ তথা গোড্ডার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে জেএমএম বিধায়ককে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। হিন্দিতে টুইট করে তিনি লেখেন, “গরিব ও আদিবাসীদের নেতা শিবু সোরেনের ছেলে অন্তর্বাস কেনার জন্য দিল্লি যাচ্ছেন!” বিজেপি সাংসদের দাবি, তুচ্ছ কারণে দিল্লি যাওয়ার জন্যই তিনি নির্যাতিতাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও শাসকদলের বিধায়কের মন্তব্যের নিন্দায় সরব হয়েছেন নেটিজ়েনরা।
প্রসঙ্গত, আস্থা ভোটে জিতলেও মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এখনও সংকটমুক্ত নন। দায়িত্বে থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে খনি ইজারা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে, এই জল্পনাও ক্রমশ জোরাল হচ্ছে। শাসক জোট জেএমম ও কংগ্রেসের সিংহভাগ বিধায়ক যে এখনও তাঁর সমর্থনে রয়েছেন, আস্থা ভোটে জিতে তা প্রমাণ করেছেন হেমন্ত। হেমন্তের অভিযোগ ছিল, বিজেপি তাঁর সরকারকে ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এমনকী রাজ্যের রাজ্যপাল রমেশ বিয়াসকেও নিশানা করেছেন হেমন্ত। আগামী দিনে পূর্বভারতের এই রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।