
নয়াদিল্লি: আগামিকাল থেকে বাংলায় শুরু হতে চলেছে SIR। সোমবার বিকালে সাংবাদিক বৈঠক থেকে সেই ঘোষণা করে দিলেন মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। নিজের বৈঠকের নানা পর্বেই বাংলার একাধিক ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। মুখ খুললেন সোমবার সকালে তড়িঘড়ি করে হওয়া প্রশাসনিক রদবদল নিয়েও। কী বলল নির্বাচন কমিশন?
আমলা থেকে আধিকারিক, প্রশাসনিক স্তরে বাংলায় ঘটেছে বিরাট রদবদল। জেলাশাসক, এসডিও, ওএসডি এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক মিলিয়ে বদলি করা হয়েছে ৬৪ জন আধিকারিককে। নবান্নের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সোমবার বদলি করা হয়েছে মোট ১০ জন জেলাশাসক, ২৪ জন এডিএম, ১৫ জন এসডিও এবং ১০ জন ওএসডি। সাধারণভাবে SIR নিয়ে যখন তুঙ্গে ছিল জল্পনা, সেই সময় এই রদবদলের সিদ্ধান্ত ভাবিয়েছে নানা মহলকেই। কোন ভিত্তিতেই বা এই রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তবে বাংলার রদবদল নিয়ে একেবারেই মাথাব্যথা নেই নির্বাচন কমিশনের। বলা চলে, গোটা ব্যাপারটাকে তাঁরা গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছে।
এদিন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, ‘প্রশাসনিক রদবদল রাজ্য সরকারের অধিকারের মধ্য়ে পড়ে। যদি কোনও রাজ্য চায়, তাঁরা SIR-এর আগে প্রশাসনিক রদবদল করাতেই পারেন। এতে সমস্যার কিছুই নেই। অবশ্য এসআইআর ঘোষণা হয়ে গেলে, কোনও রাজ্য এই কাজ করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে তাঁদের নির্বাচন কমিশনের থেকে অনুমতি নিতে হবে।’
এসআইআর নিয়ে প্রথম থেকেই বাংলার আবহ থেকেছে তুঙ্গে। রাজনৈতিক কচকচানি সর্বক্ষণ ঘিরে থেকেছে কমিশনকে। এই সময়কালেই এসআইআর সম্ভবনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ‘বেড়ে খেলতে’ নিষেধ করেছিলেন তিনি। অর্থাৎ, এসআইআর ও বাংলা যেন প্রথম থেকেই থেকেছে দুই মেরুতে। তবে জ্ঞানেশ কুমার বলছেন, কোনও সমস্য়াই নেই। তাঁর কথায়, ‘বাংলায় কোনও সমস্যা নেই। সমস্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের উচিত নিজের দায়িত্ব পালন করা। ঠিক যেমন ভাবে নির্বাচন কমিশনার নিজের কাজ করছে। একই ভাবে প্রতিটি রাজ্য সরকারকেও নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’