নয়া দিল্লি: কাল রাজঘাটে। আজ যন্তর মন্তরে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল। বাংলা থেকে বাসে করে লোক নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজধানীর বুকে তৃণমূলের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ভিড় জমাতে। কিন্তু রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, তৃণমূলের এই কর্মসূচির বাংলাতে কিংবা জাতীয় স্তরে কোথাও কোনও প্রভাব পড়েনি। দিল্লিতে বিজেপির সদর কার্যালয় থেকে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু বললেন, “মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে দিল্লিতে কর্মসূচি। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করতে বিজেপির বিরুদ্ধে কর্মসূচি নিয়েছে।”
দু’দিন ধরে রাজধানীর বুকে তৃণমূলের প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ‘নাটক’ বলেই কটাক্ষ করছেন বিরোধী দলনেতা। এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বললেন, “এই ধরনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। পুরোটাই ড্রামা। বাস্তবের সঙ্গে এর কোনও মিল নেই।” রাজ্যের শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে আরও সুর চড়িয়ে শুভেন্দুর দাবি, বাংলার সাধারণ মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। বললেন, “লোকসভা ভোটের আগে নিজেদের হাত থেকে পিছলে যাওয়া জনমতকে ফিরিয়ে আনতে এই রাজনৈতিক কর্মসূচি চালাচ্ছে। এরা রাজধানীতে মিথ্যা, সাজানো রাজনৈতিক কর্মসূচি চালাচ্ছে।”
শুধু তাই নয়, গতকাল গান্ধী জয়ন্তীতে রাজঘাটে তৃণমূলে যে কর্মসূচি চলেছে, তা নিয়েও তীব্র আপত্তি রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর বক্তব্য, রাজঘাট কমিটি কিংবা দিল্লি পুলিশের অনুমতি না নিয়েই ওই কর্মসূচি চলেছে। গান্ধীজয়ন্তীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। তৃণমূলের এই কর্মসূচির ফলে অন্যান্য মানুষজনকে হেনস্থা হতে হয়েছে বলেও অভিযোগ বিধানসভার বিরোধী দলনেতার। তাঁর বক্তব্য, ‘গতকালের ঘটনায় গোটা দেশের কাছে পশ্চিমবঙ্গের গরিমা ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে তৃণমূল।’