আগরতলা: নৈশ কার্ফু ও করোনা বিধি ভেঙে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান আয়োজন করায় উপস্থিত ব্যক্তিদের উচিত শিক্ষা দিতে দাবাং রূপ ধারণ করেছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক শৈলেশ কুমার যাদব। অতিথি গলা ধাক্কা দেওয়ায় এ বার তাকেই সাসপেন্ড করা হল। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশও দেোয়া হয়েছে। দ্রুত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
করোনা সংক্রমণের কারণে আগরতলায় জারি করা হয়েছে নৈশ কার্ফু। সেই নিয়ম পালন হচ্ছে কিনা, তা দেখতেই বেরিয়েছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক শৈলেশ কুমার যাদব। আচমকাই দুটি বিয়েবাড়িতে হানা দেন তিনি। কোভিড বিধি ও ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করায় সকলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি। গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন পুরোহিতকে। স্টেজ থেকে বর-কনেকেও নামিয়ে ধমক ও গ্রেফতারির হুমকি দেন। তার এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই দু ভাগে ভাগ হয়ে যায় নেটাগরিকরা। একপক্ষ যেমন তাঁর প্রশংসা করেন, আরেক পক্ষ তাঁর বাচনভঙ্গি ও আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
গতকালই বিজেপির পাঁচ বিধায়ক রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ কুমারের কাছে চিঠি লিখে তাঁর অপসারণ বা বরখাস্তের দাবি জানান। এ দিন সকালেই জানা যায়, ওই জেলাশাসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, মুখ্যসচিবের নির্দেশেই দুই আইএএস অফিসারের অধীনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলাশাসকের হানা ও বিরূপ আচরণই নিয়ে তাঁরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। দ্রুত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবও।
যদিও গতকালই ওই আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন জেলাশাসক শৈলেশ কুমার যাদব। তিনি বলেছিলেন, “আমার ব্যবহারে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি সাধারণ মানুষের সুরক্ষা ও মঙ্গলকামনা করেই ওই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। কাউকে আঘাত করা বা দুঃখ দেওয়ার লক্ষ্য আমার ছিল না।”