
নীতীশের কামব্যাক নাকি তেজস্বীর অভিষেক? এটাই এখন বিহারের সবথেকে বড় প্রশ্ন। জোরকদমে চলছে কাউন্টডাউন। শুক্রবার সকালেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ভোট গণনা। বিধানসভায় আসন ২৪৩। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২ আসন। কিন্তু কার কপালে উঠবে বিজয় তিলক? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। এদিকে এবারই ভোটের আগে বিহারে হয়ে গিয়েছে এসআইআর। যা নিয়ে বিহার তো বটেই তোলপাড় চলেছে গোটা দেশেই। শীর্ষ আদালত থেকে রাজনৈতিক মহল, দীর্ঘ শুনানি থেকে টানাপোড়েন, শাসক বিরোধী তোপ-পাল্টা তোপ সবই দেখেছে দেশবাসী। শেষ পর্যন্ত বাদ পড়েছে ৬৫ লাখ ভোটারের নাম।
এসআইআরের ছাপ ভোটের ফলে কতটা পড়ে সেদিকেও নজর যে থাকছে তা বলাই বাহুল্য। লাভের গুড় ঘরে তুলতে পারবে নাকি ব্যুমেরাং হবে বিজেপির তা নিয়েও কাটাছেঁড়া করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোরই বা দিনের শেষে যুযুধান দুই শিবিরের মাঝে নিজের কপাল কতটা চওড়া করতে পারেন সেটাও দেখার।
এবারই আবার বিহারে ভোটাদানের হারও সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রথম দফায় যেখানে ৬৫.০৯ শতাংশ ভোট পড়েছিল দ্বিতীয় দফায় সেখানে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭.১৪ শতাংশে। যদিও এরইমধ্য়ে আবার ১০ নভেম্বর ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল নয়া দিল্লি। পাশাপাশি বিগত নির্বাচনগুলির মতো এবারও যে বিহারে নেপথ্যে থেকে খেলেছে জাত-পাতের ইস্যু তা মানছেন বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি নীতীশের আবার শরিকি চাপ, সঙ্গে আরজেডির চোখ ধাঁধানো সব প্রতিশ্রুতি, রাহুলের ভোট অধিকার যাত্রার প্রভাবই বা ভোটবাক্সে কতটা পড়ে সেটাও দেথার।
ইতিমধ্যেই সিংহভাগ সমীক্ষায় ইঙ্গিত শেষ হাসি হাসতে চলেছে এনডিএ-র পাঁচটি দলই। জেডিইউ-র সঙ্গে সেখানে রয়েছে বিজেপি, লোক জনশক্তি পার্টি রামবিলাস, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা এবং রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা। তবে অন্য একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষাতে আবার ‘মহাগঠবন্ধন’-কে একসোর বেশি আসনও দেওয়া হয়েছে। ফলে কেউ কেউ বলছেন খেলা ঘুরে যেতে পারে যে কোনও মুহূর্তেই। নজর শুধু দিনের শেষে ফলের দিকেই।