নয়া দিল্লি: দেশে বেলাগাম করোনা সংক্রমণ। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭৮৬ জন। এই বাড়তি করোনা সংক্রমণ রুখতে সকলকে দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়ার পথে হেঁটেছে কেন্দ্র। পয়লা মে থেকে ১৮ ঊর্ধ্ব প্রত্যেককে করোনা টিকা দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ়ের ৪ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ় মিলত। কিন্তু কয়েকদিন আগে অধিক কার্যকরিতার জন্য দুই ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।
চিকিৎসকরা প্রথম ডোজ়ের ৪ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। ভ্যাকসিন মূলত দুই ভাবে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এক, করোনার মাঝারি আক্রমণ থেকে সুরক্ষা। দুই, করোনা প্রাণঘাতি আক্রমণ থেকে রক্ষা।
গবেষণা বলছে টিকার প্রথম ডোজ় নিলেই ২১ দিন পর করোনার প্রাণঘাতি আক্রমণ থেকে ১০০ শতাংশ রক্ষা পান প্রাপক। যা ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে। তবে মাঝারি আক্রমণের সম্ভাবনা তখনও ৩৫ শতাংশ থেকে যায়। টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নিলে প্রাণঘাতি সংক্রমণের পাশাপাশি মাঝারি আক্রমণের সম্ভাবনাও কমে।
৪ সপ্তাহ পর টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নিলে: প্রথম ডোজ়ের ৪ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ় নিলে করোনার মাঝারি আক্রমণের সম্ভাবনা ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ কমে যায়। তবুও ৩০ শতাংশ সম্ভাবনা থেকে যায়।
৮ সপ্তাহ পর টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নিলে: ৮ সপ্তাহ পর টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নিলে মাঝারি আক্রমণের সম্ভাবনা ৭৫ শতাংশ কমে যায়। তবে তখনও আক্রমণের ২৫ শতাংশ সম্ভাবনা থেকে যায়।
১২ সপ্তাহ পর টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নিলে: প্রথম ডোজ়ের ১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ় নিলে করোনার মাঝারি আক্রমণের সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ কমে যায়। তবে তখনও ২০ শতাংশ সম্ভাবনা থেকে যায়।
উল্লেখ্য, এই গবেষণা শুধুমাত্র অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার করোনা টিকার ওপর করা হয়েছে, এমনটাই জানা গিয়েছে সংবাদ মাধ্যম মারফত। কেন্দ্রও এই অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার করোনা টিকা কোভিশিল্ডে ব্যবধান বাড়ানোর কথা জানিয়েছিল।
আরও পড়ুন: করোনার ভয়ে ত্রিপুরায় স্থগিত তৃতীয় থেকে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা, অনিশ্চিত দশম-দ্বাদশের পরীক্ষাও