Terrorists: খাদিয়া, জাম্মিল, ইউসুফ- খুঁজে খুঁজে কোন কোন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে ভারত
Terrorists: লস্কর-ই-তইবার এই জঙ্গি মুরিদকের মার্কাজ তইবা ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিল। সেই ক্যাম্প ক্ষতিগ্রস্ত করেছে ভারত। তার মৃত্যুর পর মিলেছিল গার্ড অব অনার। তার শেষকৃত্যে কফিনে ফুল চড়ান পাক সেনা অফিসার।

নয়া দিল্লি: খুঁজতে খুঁজতে জইশ-ই-মহম্মদরে হেডকোয়ার্টার পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল ভারত। একের পর এক ডেরায় জঙ্গিনিকেশ করে কাশ্মীরের হিন্দু নিধনের বদলা নিয়েছে ভারত। প্রায় শ’খানেক জঙ্গিকে শেষ করে দেওয়া হয় গত মঙ্গলবার রাতের অপারেশনে। কুখ্যাত জঙ্গি মাসুদ আজহারের আত্মীয়দের মৃত্যুর খবর আগেই এসেছে। এবার সামনে এল সেই সব জঙ্গিনেতাদের নাম।
১. মুদাস্সর খাদিয়া খাস (মুদাস্সর/আবু জুন্দাল)।
লস্কর-ই-তইবার এই জঙ্গি মুরিদকের মার্কাজ তইবা ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিল। সেই ক্যাম্প ক্ষতিগ্রস্ত করেছে ভারত। তার মৃত্যুর পর মিলেছিল গার্ড অব অনার। তার শেষকৃত্যে কফিনে ফুল চড়ান পাক সেনা অফিসার। শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় একটি সরকারি স্কুলে।
২. হাফিজ মুহম্মদ জামিল।
জইশ-ই-মহম্মদের এই জঙ্গি মাসুদ আজহারের সবচেয়ে ছোট শ্যালক। বাহওয়ালপুরের মার্কাজ সুবান আল্লাহর দায়িত্বে ছিল হাফিজ। জঙ্গিদের পঠন-পাঠন করা ও সংগঠনের অর্থ সংগ্রহের দায়িত্ব ছিল এই হাফিজের কাজ।
৩. মহম্মদ ইউসুফ আজহার (উস্তাদজী/মহম্মদ সেলিম/ঘোসি সাহেব)।
মাসুদ আজহারের আর এক শ্যালক এই ইউসুফও জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি। জইশের অস্ত্র অনুশীলনের দায়িত্বে ছিল সে। সূত্রের খবর, জম্মু কাশ্মীরের বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদী হামলার নেপথ্যে ছিল এই জঙ্গি। এমনকী IC-814 বিমান অপহরণে ওয়ান্টেড হিসেবে ছিল এই জঙ্গির নাম।
৪. খালিদ (আবু আকাশা)।
লস্কর জঙ্গির নাম ছিল জম্মু কাশ্মীরের বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদী হামলার নেপথ্যে। আফগানিস্তানে অস্ত্র পাচারের সঙ্গেও জড়িত ছিল খালিদ। শেষকৃত্য হয় ফয়জলাবাদে। ছিলেন পাকিস্তান সেনার শীর্ষ আধিকারিকরা। ছিলেন ফয়জলাবাদের ডেপুটি কমিশনারও।
৫. মহম্মদ হাসান খান।
জইশ-ই-মহম্মদ মুফতি আসগার খান কাশ্মীরির ছেলে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জইশের অপারেশন কমান্ডার হাসান। জম্মু ও কাশ্মীরের বহু হামলা আয়োজনের নেপথ্যেও ছিল সে।





