
নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার অবধি অপেক্ষা করতে হল না। জল্পনার পরত সরিয়ে রবির সন্ধ্যায় নির্ধারিত হয়ে গেল শাসক জোট এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম। আপাতত ধনখড়ের উত্তরসূরির দৌড়ে শাসক জোটের হয়ে ব্যাট ধরবেন তিনিই। নাম সিপি রাধাকৃষ্ণণ। বর্তমানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল। রবিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাই তাঁর নাম ঘোষণা করলেন।
কিন্তু কে এই উত্তরসূরি? শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের গাঢ়ত্বই বা কতটা?
গতবছরের ৩১ জুলাই। মহারাষ্ট্রের নতুন রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন চন্দ্রপূরম পন্নুসামি রাধাকৃষ্ণন। কয়েক মাসের মধ্য়েই এবার তাঁকে প্রোমোশনের সুপারিশ। তবে এর আগে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি। পেয়েছিলেন তেলেঙ্গানার দায়িত্ব। বেশ কিছু সময় আবার হয়েছিলেন পুদুচেরীর গর্ভনর। সব মিলিয়ে তাঁর ঝুলিতে অভিজ্ঞতা মোটেই কম নয়।
দক্ষিণী রাজনীতিতে জোর
বর্তমানে বিজেপির ‘চেয়ারের’ এই পায়াটাই একটু কমজোর। তবে একেবারে বেহাল, তা নয়। নির্বাচিত এনডিএ পদপ্রার্থী এই অংশের মানুষ। ১৯৫৭ সালের ২০ অক্টোবর তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুরে জন্ম হয়েছিল তাঁর। পরবর্তীতে সেখানের একটি কলেজে ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনা নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি।
তৃণমূল স্তরে নেমে কাজ শুরু করেন ওই সময় থেকেই। জুড়ে যান সংঘ পরিবারের সঙ্গে। ১৯৭৪ সালে আরএসএস-এর একটি শাখা সংগঠন ভারতীয় জন সংঘের তামিলনাড়ুর রাজ্য কমিটির সদস্যপদ পান তিনি। ১৯৯৬ সালে দায়িত্ব পান বিজেপির তামিলনাড়ুর সম্পাদকের। পরবর্তীতে লোকসভা নির্বাচনে দু’বার জয়ী হয়েছিলেন রাধাকৃষ্ণণ। সেটা কোয়েম্বাটুর অঞ্চল থেকে। এরপর সংসদীয় কমিটির সদস্য। অবশেষে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল।
২০০৪ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত রাধাকৃষ্ণণ তামিলনাড়ু বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসাবেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই সময়কালে ৯৩ দিনব্যাপী ১৯ হাজার কিলোমিটার একটি রথযাত্রাও করেছিলেন তিনি। দক্ষিণের রাজনীতিতে যা বেনজির।