লখনউ: উত্তর প্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ আহমেদের মৃত্যু হয়েছে পুলিশি এনকাউন্টারে। বৃহস্পতিবার ঝাঁসীতে ইউপি পুলিশের বিশেষ টাস্কফোর্সের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় আসাদ ও তাঁর সঙ্গী গোলামের। তাঁদের থেকে দুটি বিদেশি পিস্তলও মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজু পাল খুনের প্রধান অভিযুক্ত আতিক রয়েছেন জেলে। সেই খুনের প্রধান সাক্ষী উমেশ পাল ২৪ ফেব্রুয়ারি খুন হন। নিজের বাড়ির সামনে উমেশকে গুলি করে খুন করে এক দল দুষ্কৃতী। এই হামলায় উমেশের দুই দেহরক্ষীরও মৃত্যু হয়। এই হামলা আসাদের নেতৃত্বে চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল আতিক পুত্র আসাদ। কবে থেকে গ্যাংস্টার হিসাবে সক্রিয় হন আসাদ? তার বিরুদ্ধে অন্য কী অভিযোগ রয়েছে? সব তথ্য তুলে ধরল টিভি৯ বাংলা।
জানা গিয়েছে, আসাদ কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের তৃতীয় সন্তান। কয়েক মাসে আগে অবধি আসদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা ছিল না পুলিশের খাতায়। যদি বছর খানেক আগে প্রকাশ্যে ১০-১২ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ ছিল আসাদের বিরুদ্ধে। মাফিয়া পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠলেও সক্রিয় ভাবে বাবার দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু আসাদের দুই দাদা গত বছর অগস্ট মাসে উত্তর প্রদেশের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আতিকও রয়েছেন জেলে। এই অবস্থাতেই গ্যাংয়ে যোগ আসাদের। আর গ্যাঙে যোগ দেওয়ার পরই রাজু পাল খুনের প্রধান সাক্ষী উমেশ পালকে খুনের হামলার নেতৃত্ব নেয় আসাদ। সিসিটিভিতেও আসাদের ছবি ধরা পড়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। উমেশ পাল খুনে আসাদের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি। তাঁর খোঁজে তল্লাশিও চালায় পুলিশ। যদিও খোঁজ মেলেনি। আসাদের নামে ৫ লক্ষ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল উত্তর পুলিশের তরফে। বৃহস্পতিবার পুলিশের গুলিতেই প্রাণ গেল আসাদের।
জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের লখনউয়ের একটি নামকরা স্কুল থেকে পড়েছেন আসাদ। বিদেশে পড়তে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। কিন্তু পাসপোর্ট না মেলায় তা করা হয়নি আসাদের। আসাদের আরও দুই ভাই রয়েছে। তাঁরা স্কুলে পড়ে বলে জানা গিয়েছে।