মুম্বই: ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের করা সময়ই খুন হয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের শিবসেনা নেতা অভিষেক ঘোষালকর। তাঁকে খুন করেছেন মৌরিস নরোনহা। খুনের পর নিজেও আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে। রাতারাতি আলোচনায় উঠে এসেছেন মৌরিসের নাম। যিনি মৌরিস ভাই নামেও এলাকায় জনপ্রিয়। নিজেকে সমাজকর্মী হিসাবে তুলে ধরা মৌরিসের খুনের কারণ স্পষ্ট না হলেও পুরনো বিবাদ কারণ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। কিন্তু কে এই মৌরিস? কী তাঁর ইতিহাস? অতীতে কোনও অপরাধের সঙ্গে যোগ ছিল তাঁর?
মৌরিসের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল দেখে তাঁকে খুব সাধারণ মনে হওয়ায় স্বাভাবিক। তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল ভর্তি রয়েছে মোটিভেশনাল কোট। তবে তাঁর শেষ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দেখা গিয়েছে অল্লু অর্জুন অভিনীত জনপ্রিয় সিনেমা পুষ্পার সংলাপ। হাসি মুখেই মৌরিসকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “পুষ্পা নাম শুনকে ফ্লাওয়ার সমঝে ক্যায়, ফায়ার হে ম্যায়।” সেই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, “যে ব্যক্তি ব্যথা, দুঃখ, অসম্মান, হৃদয়ভঙ্গ, প্রত্যাখ্যানের পরোয়া করে না, তাঁকে আপনি হারাতে পারবেন না।” অটল সেতুতে দাঁড়িয়ে তোলা ছবিও সম্প্রতি পোস্ট করেছিলেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সমাজকর্মী হিসাবেই নিজের পরিচয় দিতেন তিনি। কোভিড অতিমারি পর্বে সমাজকর্মী হিসাবে এলাকায় অনেক কাজ করেছেন তিনি। এর মাধ্যমেই সাধারণ মানুষের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ে। তা কাজে লাগিয়েই ভোটে লড়ার বাসনা ছিল মনে। মনে করা হচ্ছে এই ভোটে লড়া নিয়েই তাঁর সঙ্গে ঘোষালকরের বিবাদ। যদিও সম্প্রতি তা মিটে যায় বলে জানা যাচ্ছিল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেই নিজের অফিসে ঘোষালকরকে ডেকে খুন করলেন তিনি।
শিবসেনা নেতাকে খুনে অভিযুক্ত মৌরিসের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা, খুনের চেষ্টা, হুমকি এবং ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।