Egg Price Hike: শীত পড়তেই কেন ৮ টাকা হয়ে গেল ডিমের দাম?

Egg Price Hike: গত অগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় ডিসেম্বরে ডিমের দাম ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। পোলট্রি এক্সপার্টরা বলছেন, এই মূল্যবৃদ্ধি কিন্তু হঠাৎ হয়নি। গত বছর ডিমের জোগান কম ছিল। সরবরাহ কম হচ্ছিল, সেই কারণে দামও বাড়ছিল। এই বছর দাম বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে পশুপালকরা।

Egg Price Hike: শীত পড়তেই কেন ৮ টাকা হয়ে গেল ডিমের দাম?
প্রতীকী চিত্র।Image Credit source: Pixabay

|

Dec 26, 2025 | 9:51 AM

নয়া দিল্লি: সহজেই শরীরে পুষ্টি জোগাতে ভরসা ডিম। অনেকেই প্রিয় ডিম, দিনে দু’বেলাই ডিম খান। তবে শীতের বেলায় অনেকের হেঁশেলে উকি মারলেই আর ডিমের দেখা মিলছে না। বাইরের দোকানেও একটা ডিম দিয়েই দুটো ডিমের কাজ চালানো হচ্ছে। হঠাৎ এমন কেন? বাজারে ডিমের জোগান রয়েছে, কিন্তু তার দাম! ৮ টাকা, কোথাও কোথাও আবার ৯ টাকাও চাওয়া হচ্ছে এক পিস ডিমের দাম।

এই ছবি শুধু কলকাতার নয়, দিল্লি, মুম্বই, পটনা, রাঁচী- যেখানেই যাবেন, ডিমের চড়া দাম। সাধারণত ৭টাকা থাকে ডিমের দাম। এখন সেই দাম ৮টাকা থেকে ৯ টাকায় পৌঁছেছে। শীতকালে হঠাৎ কেন এত বাড়ল দাম? ব্যবসায়ীরা বলছেন, জানুয়ারি মাসে আরও দাম বাড়তে পারে।

গত অগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় ডিসেম্বরে ডিমের দাম ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। পোলট্রি এক্সপার্টরা বলছেন, এই মূল্যবৃদ্ধি কিন্তু হঠাৎ হয়নি। গত বছর ডিমের জোগান কম ছিল। সরবরাহ কম হচ্ছিল, সেই কারণে দামও বাড়ছিল। এই বছর দাম বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে পশুপালকরা। দীর্ঘদিন ধরেই যারা পোলট্রিতে কাজ করেন, মুরগি বা হাঁসের ডিম সংগ্রহ করেন, তারা কম টাকা পাচ্ছিলেন। এই বছর সেই ক্রয় মূল্য সংশোধন করা হয়েছে।

এছাড়া এই বছরে ডিমের চাহিদাও অনেক বেড়েছে বলেই জানাচ্ছেন পোলট্রি ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে ডিসেম্বরে ডিম বিক্রি অনেক বেড়েছে। শুধু নির্দিষ্ট কোনও শহর বা রাজ্যে নয়, গোটা দেশজুড়েই ডিম বিক্রি বেড়েছে। একে তো কেক তৈরির জন্য ডিমের ব্যাপক চাহিদা, তার উপরে শীতে ডিমের উৎপাদন কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।

যেমন প্রতিদিন উত্তর প্রদেশে সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় কোটি ডিমের প্রয়োজন পড়ে। এর মধ্যে সাড়ে তিন থেকে চার কোটি ডিম বাইরে থেকে আমদানি করা হয়। সেই খরচ ধরেই এখন উত্তর প্রদেশের বাজারে এক পিস ডিমের দাম আট টাকা থেকে ১০ টাকা। সেখানেই আবার হোলসেল মার্কেটে ডিমের দাম সাড়ে সাত টাকা।

ওয়াকিবহাল মহল বলছে, জানুয়ারিতে প্রতি ডিম পিছু আরও ১৫ থেকে ২০ পয়সা দাম বাড়তে পারে। ফলে জানুয়ারিতে সাড়ে আট টাকাও দাম হতে পারে এক পিস ডিমের। তবে মনে করা হচ্ছে, ফেব্রুয়ারি থেকে আবার ডিমের দাম একটু হলেও কমতে পারে।

যারা পোলট্রি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তারা বলছেন, আট টাকা বেশি দাম বলা উচিত নয়। পোলট্রি ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট রণপাল ধান্ধা বলেছেন যে এই রেট বরং পোলট্রি কর্মীদের একটু হলেও স্বস্তি দিয়েছে। তার কারণ প্রতি বছরই মুরগিকে খাবারের দাম বাড়লেও, ডিমের দাম কম ছিল। লাভ না হওয়ায় অনেকেই পোলট্রি ফার্ম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন, যার জেরে ডিমের জোগানেও টান পড়েছে। যদি দাম না বাড়ে, তাহলে ভবিষ্যতে ডিমের জোগান আরও কমে যাবে। তখন আরও বেশি দাম দিয়ে ডিম কিনতে হবে।

ন্যাশনাল এগ কোঅর্ডিনেশন কমিটির তথ্য অনুযায়ী, দেশের মধ্যে নামাক্কাল ও হোসপেটে ডিমের দাম সবথেকে কম। ১০০টি ডিমের দাম ৬৪০ থেকে ৬৪৫ টাকা।