
আজ রথযাত্রা! সারা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে সেই উৎসব, স্নানযাত্রার পর জ্বরে পড়েছিলেন প্রভু জগন্নাথ। তবে এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন। এবার তাঁর ভাই-বোনের সঙ্গে মাসির বাড়ি ঘুরতে যাওয়ার পালা। তাই ভারী আনন্দ। ভগবানের আনন্দে ভক্তরা সামিল হবেন না তা আবার হয় নাকি? আনন্দ ভাগ করে নিতেই তো এই রথযাত্রার আয়োজন। গোটা ভারত তো বটেই তবে রথ বললেই প্রথম যে ছবি ভেসে ওঠে তা হল পুরীর জগন্নাথ মন্দির। নিমকাঠের তৈরি সুবিশাল রথে চেপে রাজপথ দিয়ে যান মাসির বাড়ি। এই শুভ দিনের মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করে ভক্তদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন মহন্ত স্বামী মহারাজ।
তিনি বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতিতে রথযাত্রার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এই দিন পুরীর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, বলরামজী এবং সুভদ্রার মূর্তি রথে তুলে শোভাযাত্রা বেরোয়। সারা ভারতে ভক্তি এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয় এই উৎসব।”
স্বামী মহারাজ জানান, রথযাত্রা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়। তিনি বলেন, “এই উৎসব ঐক্য এবং সম্প্রীতির উৎসব। মানুষকে এক করে তোলে। আবার রয়েছে এক বিশেষ আধ্যাত্মিক বার্তাও।”
In celebration of today’s auspicious Hindu festival of #RathYatra, His Holiness Mahant Swami Maharaj shares his personal prayers & blessings.
आज के पावन रथ यात्रा पर्व के उपलक्ष्य में परम पूज्य महंत स्वामी महाराज ने अपनी प्रार्थना और आशीर्वाद प्रेषित किए हैं।#BAPS #Akshardham pic.twitter.com/kF3H9WK0XE
— Swaminarayan Akshardham – New Delhi (@DelhiAkshardham) June 27, 2025
কী সেই বার্তা?
স্বামী মহারাজ বলেন, “আমাদের উচিত নিজের জীবন ভগবান এবং তাঁর বার্তা প্রেরকের হাতে সমর্পণ করে দেওয়া। ঠিক যেমনটা করেছিলেন অর্জুন। নিজেকে সমর্পণ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণের হাতে। তার পরেই জীবনযুদ্ধে জয়লাভ করেন তিনি।”
তিনি বলেন, “একই ভাবে, আমাদের নিজের জীবন ভগবানের উদ্দেশ্যে সমর্পির করা উচিত। তাহলেই দেখবেন ভগবান নিজেই আমাদের সুখ-দুঃখ, পার্থিব এবং অপার্থিব চাহিদার খেয়াল রাখছেন। যা প্রয়োজন তা তিনি নিজেই মিটিয়ে দেবেন। আমি প্রার্থনা করি এই রথযাত্রা যেন সকলের জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি বয়ে আনে।”