Supreme Court of India: ভারতে দ্বিতীয়বার! বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর বিদায়ী সংবর্ধনা নিয়ে কেন বিতর্ক?

পাকিস্তানকে যুদ্ধে হারানোর পর তখন ইন্দিরা গান্ধীর দাপটের সামনে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই। তিন সিনিয়র বিচারপতিকে টপকে ম্যাডাম গান্ধীর ইচ্ছেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হলেন অজিত নাথ রায়। শোনা যায় প্রয়াত প্রধান বিচারপতি রায়ের কাছে নাকি নিয়মিত প্রাইম মিনিস্টারের অফিস থেকে ফোন আসতো। আর সেইমতো চলতো বিচার প্রক্রিয়া।

Supreme Court of India: ভারতে দ্বিতীয়বার! বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর বিদায়ী সংবর্ধনা নিয়ে কেন বিতর্ক?

| Edited By: সোমনাথ মিত্র

May 18, 2025 | 9:55 PM

বিচারবিভাগের সঙ্গে সরকারের সংঘাত, বিচারপতিদের সঙ্গে সিনিয়র আইনজীবীদের মতভেদ-হয়েই থাকে। তবে, শুক্রবার এমন একটা ঘটনা ঘটল, যা সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার হল। তবে, প্রথমটা আগে জেনে নিন। ১৯৭৩ সাল। পাকিস্তানকে যুদ্ধে হারানোর পর তখন ইন্দিরা গান্ধীর দাপটের সামনে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই। তিন সিনিয়র বিচারপতিকে টপকে ম্যাডাম গান্ধীর ইচ্ছেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হলেন অজিত নাথ রায়। শোনা যায় প্রয়াত প্রধান বিচারপতি রায়ের কাছে নাকি নিয়মিত প্রাইম মিনিস্টারের অফিস থেকে ফোন আসতো। আর সেইমতো চলতো বিচার প্রক্রিয়া। জরুরি অবস্থার সময় পুরোটা এএন রায় ছিলেন চিফ জাস্টিস।

একটি হেবিয়াস কর্পাস মামলায় বিচারপতি রায় উল্লেখ করেছিলেন, no court could enforce the right to life during the imposition of Emergency. জরুরি অবস্থার পর এই রায়কে মুছে ফেলতে সংবিধান সংশোধন করা হয়। এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায়বরেলি থেকে ইন্দিরা গান্ধীর জয়কে অবৈধ বলে রায় দিয়েছিল। প্রধান বিচারপতি এএন রায়ের সময়ে ১৯৭৫ সালের ২৪ জুন সুপ্রিম কোর্ট এই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। আর তার পরের দিন জারি হয় এমার্জেন্সি। বিচারপতি রায়ের অবসরের পর সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা দেয়নি।

আর গতকাল বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর অবসরের দিন তাঁকে ফেয়ারওয়েল দিল না বার অ্যাসোসিয়েশন ও Advocates on Record Association নামে শীর্ষ আদালতের আইনজীবীদের দুই সংগঠন। কারণ হিসাবে অফিসিয়ালি কিছু বলা হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে যে বিচারপতি ত্রিবেদী অনেক ক্ষেত্রে জামিন দিতে
না চাওয়ায় আইনজীবীদের বিরাগভাজন হয়েছেন। বহুক্ষেত্রে তিনি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছেন, এমনকি সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন। যা বারের সদস্যরা ভালোভাবে নেননি। শেষদিন বিচারপতি ত্রিবেদী নতুন প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের সঙ্গে এক বেঞ্চে বসেছিলেন। সেখানে ব্যক্তিগতভাবে হাজির ছিলেন বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কপিল সিব্বল। তবে, সুপ্রিম কোর্টের দশম মহিলা বিচারপতিকে বিদায় সংবর্ধনা না দেওয়ায় বারের কড়া সমালোচনা করেছেন নতুন প্রধান বিচারপতি। তাঁর কথায় ন্যয়বিচারের সঙ্গে বিচারপতি ত্রিবেদীর ইন্টিগ্রিটি ছিল প্রশ্নাতীত। তাই, বারের সিদ্ধান্ত খুবই দুর্ভাগ্যজনক।